চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ পাঁচ বছর বয়সী আয়াতকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ছয় টুকরা করে নদীতে ফেলে দেয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
আটক আবের আলীকে (৩৫) জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা শুক্রবার এসব তথ্য জানান।
আবির আয়াতের দাদা বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া। তিনি নগরের আকমল আলী সড়কে মায়ের সঙ্গে থাকেন।
১৯ বছর বয়সী এ যুবক তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
নাঈমা সুলতানা বলেন, ‘মুক্তিপণ দাবির উদ্দেশ্যে তাকে (আয়াত) অপহরণ করে তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ১১টার দিকে আকমল আলী সড়ক থেকে আটক করা হয়। সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।’
পুলিশ বলছে, গত ১৫ নভেম্বর নগরীর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিসের সামনে থেকে নিখোঁজ হয় শিশুটি। পরে তাঁর বাবা ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আবির জানিয়েছে, মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে সে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরা করে।’