বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “এই সরকারের রাষ্ট্রপতি সংলাপ ডেকেছেন, সুতরাং সরকারের কথার বাইরে তো এক ধাপও তিনি এগুতে পারবেন না। সংলাপের নামে যে ভেলকিবাজি, বায়োস্কোপ করা হচ্ছে এর জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে একদিন জবাবদিহি করতে হবে।”
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর শের-ই বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
খুলনা জেলা মহানগর নবগঠিত আংশিক কমিটির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে রিজভী জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যান।
এ সময় তার সঙ্গে দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় নেতা রবিউল ইসলাম রবিসহ দলটির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, “আপনারা জানেন রাষ্ট্রপতি আজ সংলাপ করছেন। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে এ সংলাপ। আমি বলতে চাই, রাষ্ট্রপতি তো দেশের অবিভাবক। তিনি যদি অভিভাবক হন, তাহলে সারা জাতি কী চায়, তাদের কণ্ঠ থেকে কী শব্দ বের হচ্ছে - এটা তো একজন অভিভাবকের বোঝার কথা। একটি পরিবারে যিনি অভিভাবক যেমন পরিবারের অন্যান্য সদস্য বা সন্তানের অভাব অভিযোগ শোনেন এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেন। রাষ্ট্রের অভিভাবকের তো সেটাই করার কথা।”
তিনি আরও বলেন, “আজ নির্বাচন কমিশন গঠনে যে আইন করার কথা, সে আইন তো করা হয়নি। এছাড়া দেশে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা করা দরকার সেটাও করা হয়নি। তাহলে রাষ্ট্রপতি কিসের সংলাপ করছেন? সংলাপের নামে যে ভেল্কিবাজি, বায়স্কোপ করা হচ্ছে এর জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে একদিন জবাবদিহি করতে হবে।”
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “অবৈধ এই সরকারের পক্ষ হয়ে রাষ্ট্রপতি যে সংলাপ করছেন এটা জনগণ ও ভোটারদের প্রতি এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা করা। আজকে ডিসেম্বর মাস, বিজয়ের মাস। এই জাতি নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভৌগলিক স্বাধীনতা পেয়েছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে যে স্বাধীনতা তা আমরা পাইনি। কারণ, আজকে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন, তারা গণতন্ত্রকে কষাইয়ের মতো হত্যা করেছেন।”