সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক-সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকে অবৈধ পথে বাংলাদেশিরা যেসব অর্থ জমা রেখেছেন বা পাচার করেছেন সেসব বিষয়ে সরকার কোনো তথ্য কেন জানতে চায়নি তা নিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানাতে আগামী রবিবারের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের কাছে এই প্রশ্ন রাখেন।
প্রকাশিত সংবাদের রেফারেন্স টেনে হাইকোর্ট জানতে চান কী পরিমাণ অর্থ সুইচ ব্যাংকে পাচার হয়েছে এবং এ বিষয়ে সরকার ও দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ বা দুদক কোনো তথ্য দিতে পারেনি আদালতকে। এরই পরিপ্রেক্ষীতে আগামী রোববারের মধ্যে এ বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা হাইকোর্টকে জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে।
প্রসঙ্গত,সুইজারল্যান্ডর সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে টাকা রাখার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার কোনো তথ্য চায়নি বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
বুধবার (১০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণমাধ্যমে কর্মরত কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন- ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। সুইস রাষ্ট্রদূতের এই বক্তব্যে বেশ বিব্রতবোধ করে সরকার। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকা রাখার বিষয়ে সুইজারল্যান্ড সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকার নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য জানতে চায়নি বলে সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য অসত্য।
অন্যদিকে, বাংলাদেশি নাগরিকদের পাচার করা টাকার তথ্য জানতে সব ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। সুইজারল্যাণ্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক-সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ রাখার তথ্য জানতে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও বৃহস্পতিবার তিনি জানান।