সহসাই জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ ফিরে পাচ্ছেন না। ওই পদ থেকে তাঁকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জারি করা রুলের রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩ মে ধার্য করা হয়েছে। ফলে মেয়র পদে ফিরতে জাহাঙ্গীরের অপেক্ষা বাড়ল।
মঙ্গলবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। ওই সিটির নির্বাচনের আগে জাহাঙ্গীরের বহিষ্কারের বৈধতা নিয়ে রায় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এ দিন ধার্য করেছিল হাইকোর্ট। আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, অ্যাডভোকেট এমকে রহমান, ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।
গত ১৫ মার্চ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়। এবং মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হলে ৩০ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়। পরে ফের সময় চায় রাষ্ট্রপক্ষ। পরে সময় আবেদন মঞ্জুর করে মঙ্গলবার রায়ের দিন ধার্য করে হাইকোর্ট।
গত বছরের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে তাঁকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর পর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পরে জাহাঙ্গীর আলমকে দলে ফিরিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
২০১৮ সালে সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে মেয়র পদে জয়ী হন জাহাঙ্গীর আলম।