জুন ৭, ২০২২, ১১:০২ পিএম
ঢাকার সাভারের বলিয়ারপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় পরমাণু শক্তি কমিশনের ৩ বিজ্ঞানীসহ ৪ জন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত সেইফ লাইন পরিবহনের সেই বাসটির চালকও নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন।
বাসচালক মো. মারুফ হোসেন (২৭) মারা গেছেন। ঘটনার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওই চালককে খুঁজছিলেন। গতকাল সোমবার রাতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে চালকের পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত চালকের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত রোববার সাভারের বলিয়ারপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দুর্ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে মারুফের মা শামসুন্নাহার ছোট ছেলে সোহরাব হোসেনকে নিয়ে বলিয়ারপুরে ঘটনাস্থলে যান। প্রত্যক্ষদর্শীদের তিনি মারুফের পোশাকের বর্ণনা দিলে তাঁরা এমন একজনকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানান। পরে হাসপাতালে পৌঁছালে মারুফকে মৃত অবস্থায় পান পরিবারের সদস্যরা। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল রাতে শ্রীমঙ্গলে তাঁকে দাফন করা হয়।
এর আগে গত ৫ জুন সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে সেইফ লাইন পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে বাম পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসকে ধাক্কা দেয়।
পরে সেটি ডান পাশে থাকা গরুবোঝাই একটি চলন্ত ট্রাককে সামনের দিকে ধাক্কা দিয়ে সড়ক বিভাজনের ওপর দিয়ে আরিচামুখী লেনে চলে যায় এবং ওই লেনে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের একটি চলন্ত বাসকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই পরমাণু শক্তি কমিশনের স্টাফ বাসের চালক রাজিব হোসেন নিহত হন। সে সময় কমিশনের ১২ কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পরিবহনের মোট অন্তত ২০ জন আহত হন।
তাদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা পরমাণু শক্তি কমিশনের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পূজা সরকার ও প্রকৌশলী কাউসার আহম্মেদকে মৃত ঘোষণা করা হয়।