আগস্ট ৩০, ২০২২, ০৯:১৭ এএম
২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশের ৬৭ জনের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এর পারিপ্রেক্ষিতে মাত্র ১ জনের তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা-বিএফআইইউ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল সোমবার হাইকোর্টে বিএফআইউ এবং দুদকের পৃথক প্রতিবেদনটি এফিডেভিড আকারে জমা দেওয়া হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এফআইইউয়ের কাছে সুইস ব্যাংকসহ দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ জমা সংক্রান্ত তথ্য বিভিন্ন সময়ে জানতে চেয়েছিল বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা-বিএফআইইউ। সর্বশেষ গত ১৭ জুন এফআইউয়ের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চাইলে হাইকোর্টে গতকাল সোমবার প্রতিবেদন এফিডেভিড আকারে জমা দেওয়া হয়।
অর্থপাচার ও সন্ত্রাসীকাজে অর্থায়ন প্রতিরোধ, অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য বিএফআইইউ বিদেশি এফআইইউদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে। বিশ্বব্যাপী এসব তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম হলো এগমন্ড সিকিউর ওয়েব (ইএসডব্লিউ)। বাংলাদেশ ২০১৩ সালের জুলাইয়ে ইএসডব্লিউয়ের সদস্য হওয়ার পর চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ৬৭ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তথ্য চায় বাংলাদেশ। ইএসডব্লিউয়ের মাধ্যমে এফআইইউকে এ তথ্য দিতে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা-বিএফআইইউ। অনুরোধের জবাবে সুইজারল্যান্ডের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এফআইইউ জানায়, তাদের কাছে মাত্র একজনের বিষয়ে তথ্য আছে। আর ওই একজনের তথ্য দুদককে দিয়েছে বিএফআইইউ।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্টের একই বেঞ্চে প্রতিবেদনের বিষয়টি অবহিত করার পর তা আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দিন ধার্য করা হয়। গত ১৪ আগস্ট অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর থেকে হাইকোর্টে বিএফআইউর ওই প্রতিবেদনের তথ্য জানানো হয়।