বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে বিক্ষোভের সময় আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের সঙ্গে আবারও হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়েছেন। এর আগেও গত ২৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স কক্ষের সামনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আইনজীবীরা।
বুধবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদকের কক্ষের সামনে ঘটে এই হাতাহাতির ঘটনা। এসময় বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদকের নেমপ্লেট ভাঙচুর করেন। সম্পাদকের কক্ষের দরজা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা।
এসময় সরকার সমর্থক আইনজীবীরা বাধা দিলে তাদের সাথে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। দীর্ঘ সময় ধরে আইনজীবীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির পর বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা শ্লোগান দিতে দিতে চলে যান। এসময় সরকার সমর্থক আইনজীবীরা সম্পাদকের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন।
এর আগে ‘অবৈধভাবে’ সম্পাদক পদ দখল করে সুপ্রিম কোর্ট বারের ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন বিএনপি সমর্থক শতাধিক আইনজীবী। তারা সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদকের কক্ষের সামনে এসে ‘ভোট চোর’ ‘ভোট চোর’ বলে শ্লোগান দেন।
এসময় আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, “জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে। আমাদের সাহসী নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।”
প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব ফজলুর রহমান বলেন, “মানুষের শেষ ভরসাস্থল সুপ্রিম কোর্টেও ভোট ডাকাতি করা হয়েছে। এই সরকারের পতন ছাড়া দেশে আর কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবো না।”
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘যারা তালা ভেঙে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদকের পদ দখল করেছেন আইনজীবীরা তাদের ক্ষমা করবেন না। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিগত ৭৫ বছরের ইতিহাস কলঙ্কিত করা হয়েছে “
আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূইয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজলের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার মো. কামাল হোসেন, সহ-সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান খান।