স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ১৬, ২০২১, ০৮:২৫ পিএম

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

মহান বিজয় দিবসের ৫০ বছর পূর্ণ হলো আজ। মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের সুবর্ণজয়ন্তীর ঐতিহাসিক সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। দিনের নতুন প্রভাতে তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গোটা জাতি আজ উৎসব-আনন্দে মেতে ওঠে।

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী এবং মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ শুরু হয়। এতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দেন। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলের ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমভিত্তিক যান্ত্রিক বহর প্রদর্শন করা হয় অনুষ্ঠানে। 

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ আটটি দেশের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যরা এ কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। 

এর আগে সূর্যোদয়ের সময় রাজধানীর পুরোনো বিমানবন্দর এলাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের অনুষ্ঠানমালার সূচনা হয়। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়ছে।  সন্ধ্যায় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয় ভবনগুলো। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন পতাকায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে।

বিজয় দিবসের সকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টায় স্মৃতিসৌধের বেদীতে প্রথমে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তখন রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতির সূর্য সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিন বাহিনীর প্রধান।

পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় অন্যদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ হাছান মাহমুদ। পরে সকাল ৭টার দিকে স্মৃতিসৌধের ফটক সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

Link copied!