নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ১৯২টি কেন্দ্রে ভোট হয়। ইতোমধ্যে ১৩৪টি কেন্দ্রে থেকে ফলাফল বেসরকারিভাবে প্রকাশিত হয়েছে। এতে নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী তৈমূর আলম খন্দকারের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।
১৩৪ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ১২১ ভোট। আর হাতি মার্কা নিয়ে তৈমূর পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৪৬৫ ভোট।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। পুরো সিটির নির্বাচনই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) হয়েছে। বড় ধরনের অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ছাড়াই নাসিক নির্বাচন শেষ হয়। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এবার সিটি নির্বাচনের মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৯ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৮ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র ১৮৭টি এবং ভোট কক্ষ ১ হাজার ৩০১টি। এর মধ্যে অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র ছিল ২৫টি।
এবার নির্বাচনে মোট ৭টি দল অংশগ্রহণ করেছে। মেয়র পদে নির্বাচন করেছেন ৭ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ৩০ জন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কমপক্ষে ৪ থেকে ৫টি টিম ছিল; যার প্রতিটি টিমে ৪ থেকে ৫ জন পুলিশ সদস্য ও ২০ থেকে ২২ জন আনসার সদস্য।
নির্বাচনে মেয়রপদে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন— খেলাফত মজলিশের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ (হাত পাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) ও স্বতন্ত্র কামরুল ইসলাম বাবু (ঘোড়া)। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে (হাতি) নিয়েই দেশব্যাপী বেশি আলোচনা ছিল। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দুই প্রার্থীই।