কখনো হাল্কা, কখনো কনকনে ঠান্ডা, কখনো ঘন কুয়াশা, কখনো খানিকটা খিটখিটে প্রকৃতি, নানা বৈশিষ্ট নিয়ে আসা এবারের শীত ঋতু প্রায় শেষের দিকে। মাঘের বেশ কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
এরমধ্যেই আজ বৃষ্টি হয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। বৃষ্টি হয়েছে রাজধানী ঢাকায়। এমনিতে হাড়কাঁপানো শীতের মাঝে বৃষ্টি অনেকের জন্যই ভোগান্তির কারণ। কেউ কেউ আবার শীতে বৃষ্টি দিনকে বেছে নেন খিচুরী-মাংস খাওয়ার উপলক্ষ্য হিসেবে।
শুক্রবার ভোরে বৃষ্টির কারণে অনেক শ্রমজীবী মানুষ র্কমস্থলে যেতে পারেননি। ছুটির দিনের কারণে রাস্তাঘাটও প্রায় ফাঁকা ছিলো। বগুড়ায় রাত সোয়া ৩টা থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এবারের শীতের মৌসুমে এটাই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
সকাল ৯টায় বগুড়ার র্সবনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৬ দশমকি ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টির প্রভাবে দুপুর ১২টার দিকে তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে কুড়িগ্রামে। ভোরের বৃষ্টিতে সড়ক ও মাঠে পানি জমে যায়। কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে যানবাহন ও মানুষ কম চলাচল করেছে।
দিনাজপুরে ভোরে হঠাৎ করে বৃষ্টি হয়েছে। মুষলধারের বৃষ্টিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে দক্ষিণাঞ্চলীয় খুলনা জেলাতেও।