হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
হাট হাজারি মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মাওলানা ইয়াহিয়া দ্য রিপোর্টকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাকে চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল সিএসসিআরে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, বাবুনগরীর খাদেম মাওলানা জুনায়েদ গণমাধ্যমে বলেন, বুধবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকে বাবুনগরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়। পরে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালের দিকে রওনা হন সঙ্গীরা।
প্রসঙ্গত,৭৩ বছর বয়সী আল্লামা জোনায়েদ বাবুনগরী বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে কিডনির জটিলতা, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন।
বাবুনগরী ১৯৫৩ সালের ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার বাবুনগর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবুল হাসান ও মাতা ফাতেমা খাতুন।
৫ বছর বয়সে তিনি আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরে ভর্তি হন।ওই প্রতিষ্ঠানে তিনি মক্তব, হেফজ ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। ১৯৭৬ সালে হাটহাজারি মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।
১৯৭৬ সালে পাকিস্তানের করাচিতে অবস্থিত জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়ায় উচ্চতর হাদিস গবেষণা বিভাগে ভর্তি হন। ২ বছর হাদিস নিয়ে গবেষণা সম্পন্ন করে তিনি আরবি ভাষায় ‘সীরাতুল ইমামিদ দারিমী ওয়াত তারিখ বি শায়খিহী’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভ জমা দেন। এই অভিসন্দর্ভ জমা দেওয়ার পর তিনি ওই মাদরাসা থেকে হাদিসের সর্বোচ্চ সনদ লাভ করেন।
১৯৭৮ সালে দেশে প্রত্যাবর্তন করে বাবুনগ মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবনের সূচনা হয়।পরবর্তিতে যোগ দেন দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসায়। চলতি বছরের গত ৭ জুন জুনাইদ বাবুনগরীকে আমির করে ৩৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে হেফজতে ইসলাম।