বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায় ধূঁকছে নানা দেশ। এরইমধ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে উল্টো বাড়ানো হয়েছে যার প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, লোকসান এড়াতে সরকার জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করেছে। ফলে বাড়ানো হয়েছে তেলের দাম। যার প্রভাব পড়েছে সবকিছুতেই। এমন পরিস্থিতিতে কম দামে জ্বালানি তেল কিনতে এখন রাশিয়ার দিকে হাত বাড়াচ্ছে সরকার।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা হয়। ওই সভায়ও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি নিয়ে আলোচনা ওঠে।
কীভাবে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করা যাবে তা পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত যদি পারে, বাংলাদেশও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে কেন পারবে না সেই প্রশ্নও করেছেন সরকার প্রধান।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে বাংলাদেশের কাছে আবারো পরিশোধিত তেল বিক্রির প্রস্তাব পাঠায় রাশিয়ার তেল উৎপাদন ও বিপণন কোম্পানি রজনেফ্ট। এরই মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে আলোচনা করতে কমিটিও গঠন করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)।
বিপিসি সূত্র বলছে, বর্তমানে প্রতি ব্যারেল (১৫৯ লিটার) ডিজেল আমদানি করতে ১২৫ ডলারের মতো খরচ পড়ছে বিপিসির। অপরিশোধিত ক্রুড অয়েল আনতে খরচ পড়ছে ৯০ ডলার। তবে প্রতি ব্যারেল ডিজেল মাত্র সাড়ে ৫৭ ডলারে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে দেবে রাশিয়ান তেল উৎপাদন ও বিপণন কোম্পানি ‘রজনেফ্ট’। সেই হিসাবে প্রতি লিটার ডিজেলে আমদানি খরচ পড়বে ৪০ টাকারও কম।
কয়েকদিন আগে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও রাশিয়া থেকে তেল কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন। ওইদিন তিনি বলেন, ‘বিপিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি আলোচনা করছে।