‘এম খায়রুজ্জমানকে ফেরত পাঠাতে মালয়েশিয়াই আইনী লড়াই চালাবে’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২, ১০:৩০ পিএম

‘এম খায়রুজ্জমানকে ফেরত পাঠাতে মালয়েশিয়াই আইনী লড়াই চালাবে’

মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এবং জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার আসামি এম খায়রুজ্জামানকে ফেরত পাঠাতে ওই দেশের সরকারই আইনি লড়াই করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

খায়রুজ্জামানকে ফেরত পাঠানোর ওপর কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শাহরিয়ার আলম বলেন, “সব দেশের সরকার সে দেশের আদালতকে সম্মান করে; বাংলাদেশও সেই মানসিকতা ধারণ করে। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সরকারই এটাতে ফাইট করবে। এই কেইসে মালয়েশিয়া সরকারের সাকসেসফুলি উইন করার জন্য যদি কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, বাংলাদেশ সরকার অবশ্যই সেটা করবে।”

খায়রুজ্জামান গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া ঠেকাতে তার স্ত্রী রিটা রহমান তৎপর হন। তার দাবি, কোনো ‘অন্যায় না করলেও ‘তার স্বামীকে মালয়েশিয়ায় ‘খামোখা’ গ্রেফতার করা হয়েছে।

খায়রুজ্জামানকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আবেদন করলে শুনানি শেষে কুয়ালালামপুর হাই কোর্ট মঙ্গলবার খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়।

সাংবাদিকরা এই বিষয়টিতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শাহরিয়ার আলম বলেন, “ একটা লিগ্যাল প্রসেসের মধ্যে তারা গেছে। যে বিনিয়োগ তারা করেছে, সেটার একটা কিছু সফলতাও তারা পাবে। তবে, সেক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সরকারই কিন্তু এটাকে ডিফেন্স করবেন। কারণ এটি তাদের সিদ্ধান্ত- গ্রেফতার এবং বাংলাদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা মালয়েশিয়া সরকারের। সেখানে আমরা রিকোয়েস্ট করে থাকি বা তদবির করে থাকি, সেটা ভিন্ন ব্যাপার।”

প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি দেশটির আম্পান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ডের পর পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্ত হন এম খায়রুজ্জামান। এরপর তিনি মিশর ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে অবসরে পাঠিয়ে গ্রেপ্তার করে। তবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৩ সালে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ২০০৫ সালে তিনি মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালে তাকে মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার চাকরি বাতিল করে তাকে দেশে ফিরে আসতে বলা হয়। তবে, তিনি দেশে না ফিরে সেখানে শরণার্থী হিসেবে ছিলেন।

Link copied!