অপরিশোধিত তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক। বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তেলের বাজারে নিজেদের আধিপত্য ও দাম ধরে রাখতে ওপেক প্লাস এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা ও রয়টার্স প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার ভিয়েনায় ওপেকভুক্ত দেশগুলোর বৈঠক হয়। এতে ২০২০ সালে করোনা মহামারীর পর থেকে অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি মাত্রায় কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। তেলের উৎপাদন না কমাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশগুলোর চাপ সত্ত্বেও জোটটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অপরিশোধিত তেল উৎপাদন কমানোর বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বলে আসছিল ওপেক প্লাসের সদস্যরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা বারবার উৎপাদন না কমাতে অনুরোধ জানিয়েছে। তাতে মত পাল্টায়নি ওপেক। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ছাড়াও এই সংস্থার অন্যতম সদস্য এখন রাশিয়া। বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক।
এদিকে তেল উত্তোলন কমানো নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের আগেই বিশ্ববাজারে বেড়ে যায় তেলের দাম। এর দর গত মঙ্গলবার প্রতি ব্যারেলে ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে। প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৩ ডলারের মতো বেড়ে প্রায় ৯২ ডলার হয়েছে।
বিশেষজ্ঞেরা যদিও বলছেন, বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলে ৮৪ ডলারের কাছে নামার পরে বুধবারই (৫ অক্টোবর) প্রায় আড়াই বছরে প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেক ও রাশিয়াসহ তার সহযোগী দেশগুলো। সিদ্ধান্ত হয়েছে নভেম্বর থেকে দিনে ২০ লাখ ব্যারেল তেল কম উত্তোলন করবে তারা।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, ক্রমবর্ধমান মার্কিন সুদের হার এবং ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় তিন মাস আগে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১২০ ডলার থেকে কমে ৯০ ডলারে নেমে আসে।