জুলাই ২৮, ২০২১, ০৫:৪৩ পিএম
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তিনটি আন্ডারপাস নির্মাণসহ ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫৭৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ১৫০ কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ৪২৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। বুধবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিফ্রিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
প্রকল্প সংশোধন অন্যায় নয়
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বরিশাল অঞ্চলে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার আছে। দেখেছি অনেক ব্রিজ ইতোমধ্যেই ভেঙে গেছে। কিছু ভেঙে পড়ার উপক্রম। তাই দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ পুনর্নির্মাণ বা পুনর্বাসন প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রকল্প সংশোধন করাটা অন্যায় নয়। প্রয়োজনে হতে পারে। কিন্তু অকারণে ঘোরাঘুরি করাটা খারাপ। অহেতুক প্রকল্প সংশোধন করা হলে সদস্যরা ধরবেন।
প্রবাসী শ্রমিকদের ডাটাবেজ হবে
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছেন। এর মধ্যে প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুণঃএকত্রীকরণের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃজনে সহায়ক প্রকল্পের মাধ্যমে দুই লাখ শ্রমিককে সহায়তা করা হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রবাসী শ্রমিকদের ডাটাবেজ করা হবে।
ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশীদ, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম এবং আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো
ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে ৩টি আন্ডারপাস এবং পদুয়ার বাজার ইন্টারসেকশনে ইফলুপ নির্মাণ প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প; ব্যয় হবে ১১১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ প্রকল্প; সেখানে ব্যয় হবে ১৪৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ইনস্টিটিউট অব টিস্যু ব্যাংকিং অ্যান্ড বায়োমেটেরিয়াল রিসার্চের সেবা ও গবেষণা সুবিধাদি আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প; এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। জেলাভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ শিশু কার্ডিওলজি ও শিশু কার্ডিয়াক সার্জারি ইউনিট স্থাপন প্রকল্প; ব্যয় হবে ৭২ কোটি ৯ লাখ টাকা। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আয়রন ব্রিজ পুনর্নির্মাণ প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা। পদ্মা বহুমুখী সেতুর ভাটিতে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং ও টংগিবাড়ী উপজেলাধীন বিভিন্ন স্থানে পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প; সেখানে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪৬ কোটি ১২ লাখ টাকা। প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্যে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃজনে সহায়ক প্রকল্প নির্মাণের ব্যয় হবে ৪২৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এছাড়া বিসিক খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পনগরী, ঠাকুরগাঁও প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা।