কালোবাজারিতে টিকিট বিক্রি করে রেজাউলের আয় ১০-১২ লাখ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২৯, ২০২২, ০৪:০০ পিএম

কালোবাজারিতে টিকিট বিক্রি করে রেজাউলের আয় ১০-১২ লাখ

দীর্ঘ ৬ বছর ধরে রেলওয়ে টিকিটিংয়ের সঙ্গে জড়িত রেজাউল করিম। আর এ সুবাদে প্রতি ঈদে ট্রেনের ২-৩ হাজার টিকিট সরিয়ে নিতেন। যা কালোবাজারিতে বিক্রির মাধ্যমে প্রতি মৌসুমে আয় করতেন ১০-১২ লাখ টাকা।

ট্রেনের অনলাইনের টিকিট জালিয়াতির অভিযোগে সহজ ডটকমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিমকে (৩৮) আটকের পর এসব কথা জানায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাতে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে সহযোগী এমরানুল আলম সম্রাটকে (২৮) আটক করা হয়।

এ সময় তাদের স্মার্টফোন থেকে অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করা বিপুল পরিমাণ ট্রেনের ই-টিকিট জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।

তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকিটের বিপুল চাহিদা থাকে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। অধিকাংশ মানুষই অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে সকালে অনলাইনে টিকিট ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই টিকিট শেষ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ এর কর্মকর্তা বলেন, রেজাউল গত ৬ বছর ধরে ট্রেনের টিকিটিংয়ের সঙ্গে জড়িত। সহজ ডটকমের আগে অনলাইনে টিকিট বিক্রির দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠান সিএনএস বিডিতেও কর্মরত ছিলেন তিনি। অভিজ্ঞকর্মী হিসেবে সহজ ডটকম তাকে নিয়োগ দেয়। পরিচিতজনদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা লাভে টিকিট বিক্রয় করতেন রেজাউল। এছাড়া অন্যদের কাছে নির্ধারিত দামের চেয়ে ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা বেশি দামে টিকিট বিক্রি করতেন। তার দাবি, রেলওয়ের বিভিন্ন ভিআইপিদের টিকিটের আবদার মেটানোর সুযোগে নির্বিঘ্নে তিনি এ কাজ করে আসছিলেন।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, রেজাউল পরিচিতজনদের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে টিকিট প্রত্যাশীদের একটি বড় শ্রেণি গড়ে তুলেছেন। এর বাইরেও কালোবাজারিতে তার টিকিট বিক্রেতা রয়েছে। সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুবাদে সার্ভার থেকে টিকিট বুক করে কিনে নিতেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তার এ সংক্রান্ত বিভিন্ন যোগাযোগ চলতো বিভিন্ন অ্যাপসে। আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পরিবর্তে লেনদেন করতেন নগদ অর্থে। তাকে আটকের মধ্য দিয়ে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির একটি বিষয় উন্মোচিত হয়েছে বলে দাবি করেন র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক।

Link copied!