আমিসহ গুলশানের ছবি ছেলেকে পাঠিয়েছিলাম। আমার ছেলে গুলশানের ছবিগুলো দেখে আমাকে জিজ্ঞাসা করল- মা, তুমি কী এখন নিউইয়র্কে আছো? প্রকৃতপক্ষে গুলশানের অবকাঠামো দেখে আমার ছেলের কাছে সেটি নিউইয়র্ক মনে হয়েছে। সোমবার (২২ নভেম্বর) সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত একটি জাতীয় সংলাপে এ কথা বলেন বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ এবং ভুটান) মার্সেই মিয়াং টেমবন।
উন্নয়নে বৈষম্য রয়েছে
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন আসলে সব জায়গায় সমানভাবে হয়নি। যেমন আমি গুলশানে যেটা দেখেছি, ঠিক তেমনিভাবে কক্সবাজারকে নিয়ে আমি বলতে পারবো না। একইভাবে খুলনা, ময়মনসিংহের উন্নয়নগুলো বলতে পারবোনা। গুলশানের মতো তাই আমার মনে হয় এই অবকাঠামোগত উন্নয়ন সামগ্রিকভাবে হওয়া প্রয়োজন।
উন্নয়নে ওঠা নামা থাকবে
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দিনব্যাপী আয়োজনে মার্সেই মিয়াং টেমবন আরও বলেন, একটা দেশের উন্নয়নে কমবেশি ওঠানামা থাকবেই এবং এটি প্রত্যেকটি পরিবারের মতো, ব্যক্তি জীবনের মতো। সেখানে উথাল পাথাল থাকবেই। তবে আমাদের এগুলোকে সামগ্রিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই অগ্রগতিতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক সবসময়ই বাংলাদেশের সঙ্গে থাকতে চায়। কেননা বিশ্বের যে কয়েকটি দেশ খুব স্বল্পতম সময়ে উন্নতি করেছে এবং ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে, বাংলাদেশে তাদের মধ্যে অন্যতম।