বর্তমান প্রেক্ষাপটে অবৈধভাবে কেউ ডলার মজুত করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হারুন-অর-রশিদ বলেন, “ডলারের মূল্যবৃদ্ধির এ সময়ে কেউ যদি তা মজুত করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা যদি এ ধরনের তথ্য পাই কেউ ডলার মজুত করছে বা অবৈধভাবে জাল ডলার তৈরির সরঞ্জাম অথবা মেশিন আছে, তাহলে অবশ্যই অভিযান পরিচালনা করব। আমরা এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি।”
ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমছেই। খোলা বাজারে নগদ মার্কিন ডলার কিনতে গ্রাহককে গুনতে হচ্ছে ১১০ থেকে ১১২ টাকা।
ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট করতে হয়। তবে খোলাবাজার থেকে কিনতে এর প্রয়োজন নেই। এ কারণে খোলাবাজারের ডলারের চাহিদা থাকে বেশি। মঙ্গলবার মতিঝিল এলাকার মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে প্রতি ডলার ১১০ থেকে ১১১ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। অথচ একদিন আগেও এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতি ডলার ১০৫ টাকায় বিক্রি হয়।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ডলারের দাম আরও বাড়বে, এমন আতঙ্ক ছড়িয়ে একটি পক্ষ দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাতে কেউ কেউ প্রয়োজন না থাকলেও ডলার কিনছেন। আবার বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস ডলার ধরে রেখে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এ জন্য দাম বেড়ে গেছে।