মে ২৮, ২০২৩, ০৭:৩০ পিএম
আগামী অর্থবছর শুরু হলে প্রতি ভরি স্বর্ন দেশে আনতে হলে একজন বৈধ বাংলাদেশী নাগরিককে চার হাজার টাকা শুল্ক দিতে হবে। চলতি অর্থবছরে ভরিতে দুই হাজার টাকা শুল্ক দিতে হয়। একজন বাংলাদেশী নাগরিক সর্বোচ্চ ২০ ভরি ওজনের (২৩৪ গ্রাম) একটি স্বর্নের বার দেশে আনতে পারে। এক্ষেত্রে তাকে পরিমানমত শুল্ক পরিশোধ করতে হয়।
আসন্ন ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাগেজ রুল সংশোধন করে স্বর্ণবার আনার ক্ষেত্রে ভরি প্রতি শুল্ক ২ হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সুত্র জানায়, স্বর্ণের অবৈধ প্রবেশ রোধ ও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে ব্যাগেজ রুলে বড় ধরনের সংশোধন আনতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
নতুন শুল্ক আরোপের বিধান কার্যকর হলে আগামী ১ জুলাই থেকে ২০ ভরি স্বর্ণের জন্য ৮০ হাজার টাকা শুল্ক গুণতে হবে। আবর্তমানে দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে একই সঙ্গে ১১৭ গ্রাম বা ১০ ভরি ওজনের একটির বেশি স্বর্ণের বার আনলে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার বিধান আনা হচ্ছে।
এদিকে, শুল্ক ছাড়াই স্বর্ণালংকার আনার সুযোগ অপরিবর্তিত থাকছে। এ নিয়ম অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে শুল্ক-কর ছাড়াই দেশে আসার সময় ১০০ গ্রাম (সাড়ে ৮ ভরি) ওজনের স্বর্ণালংকার আনতে পারবেন। তবে এক ধরনের অলংকার ১২টির বেশি আনা যায় না।
সূত্র জানায়, মূলত বছরখানেক ধরে স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার আমদানির প্রবণতা বেড়ে গেছে। এমনও অভিযোগ পাওয়া গেছে যে প্রবাসীরা এখন রেমিট্যান্সের বদলে দেশে স্বর্ণের বার পাঠাচ্ছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে তারা বাহক হিসাবেও ব্যবহৃত হচ্ছেন। ব্যাগেজ রুলে বৈধতা থাকায় দেশে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণও কমে গেছে। সেজন্য এ পদ্ধতির লাগাম টানতেই ব্যাগেজ রুল সংশোধন করা হচ্ছে।