সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১, ০৩:২৪ পিএম
বাংলাদেশের জ্বালানি, ব্যাংকিং ইনস্যুরেন্স খাতসহ সম্ভবনাময় বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগে মার্কিন উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় বিকেলে লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ বিজনেস গোলটেবিল (ভার্চুয়াল) আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সম্ভাবনাময় বিভিন্ন খাতের পাশাপাশি আইসিটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, হালকা প্রকৌশল, অ্যাগ্রো-প্রোসেসিং (কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ), সমুদ্র অর্থনীতি, পর্যটন, জ্ঞান-ভিত্তিক হাই-টেক শিল্পের মতো লাভজনক খাতে বিনিয়োগের জন্য মার্কিন বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশে বিদ্যমান বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেরই সবচেয়ে মুক্ত বিনিয়োগ-নীতি রয়েছে, ফলে বিদেশী বিনিয়োগ সুরক্ষিত থাকবে। বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ পার্লামেন্টের আইন ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তি দ্বারা সুরক্ষিত।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতেই দক্ষ জন-সম্পদ সরবরাহ করতে আমরা জনশক্তিকে দক্ষ করার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি। সম্ভাবনাময় খাতে এফডিআই সুবিধা দিতে বাংলাদেশ অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ সরবারাহে উন্নয়ন ঘটাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে’।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব অভিন্ন মূল্যবোধ ও স্বার্থের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আমাদের এই পারস্পারিক সম্পর্কের প্রতিফলন ঘটেছে’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের একটি কেবল আমেরিকান বিনিয়োগকারীদের দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের ২৮টি হাই-টেক পার্কে মার্কিন বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আমরা’।
তিনি বলেন, ‘আমরা অব্যহতভাবে আমাদের অবকাঠোমো, আইনী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন ঘটাচ্ছি এবং পদ্মা সেতু ,ঢাকা মেট্রো-রেলের মতো বিভিন্ন সড়ক ও রেল যোগাযোগও বৃদ্ধি করছি’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের জ্বালানী খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা ও বিনিয়োগের স্বীকৃতি দিচ্ছি। এই সাহায্যের ফলেই আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। এখন আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে মার্কিন বিনিয়োগ কামনা করছি’।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্রুত-বর্ধনশীল আইসিটি খাত এখন ৬০টি দেশে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি করছে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের আইসিটি পণ্য সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়। ২০২৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশের আইসিটি শিল্প পাঁচ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছুবে বলে আশা করা হচ্ছে। ৬ লক্ষাধিক ফ্রি-ল্যান্স আইটি প্রফেশনালদের কারণে বাংলাদেশ এখন আইসিটি খাতে বিনিয়োগের জন্য আদর্শ স্থান’।
ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সদস্য এবং ইউএস এন্ড বাংলাদেশ বিজনেস ওয়ার্ল্ডের নেতারা এই গোলটেবিলে অংশ নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী এই গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনের জন্য ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ও এর সভাপতি নিশা বিসওয়ালকে ধন্যবাদ জানান।