দেশের বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী শুরু হয়েছে। আর এতে দেশের পাইকারি বাজারে মসলা জাতীয় এই পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে।
সোমবার যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে তিনটি ট্রাকে ৭৫ টন পেঁয়াজ আমদানী করেছে ঢাকার আমদানিকারক জারিফ ইন্টারন্যাশনাল।
মঙ্গলবার বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত তিন মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। কৃষি মন্ত্রণালয় অনুমতি দেওয়ায় সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সোমবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে বেনাপোলে প্রবেশ করেছে জারিফ ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা পেঁয়াজ।
পেঁয়াজ খালাস নিতে জারিফ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান রয়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক রয়েল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে ভারত থেকে তিনটি ট্রাকে ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন পেয়াজ ১৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি হলেও শুল্কায়নসহ পেয়াজ ৩২০ মার্কিন ডলার মূল্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ১০ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়ছে ৩৮ টাকা ৩৬ পয়সা বলে তিনি জানান।
এদিকে, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানী শুরু হওয়ার খবরে কমতে শুরু করেছে এর দাম। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যে পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে মঙ্গলবার সকালে তা ৭০ টাকায় নেমে এসেছে। এটি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, ধনিয়া ও কোনাপাড়া বাজারের চিত্র। আমদানীকৃত পেঁয়াজ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছলে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
এর আগে, পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৪৫ টাকার বেশি হওয়া উচিত হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ আমদানীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকার নিচে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।