‘জেলেনস্কি চা’য়ে চাঙ্গা হচ্ছেন ভারতীয়রা!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১৯, ২০২২, ০১:৫১ পিএম

‘জেলেনস্কি চা’য়ে চাঙ্গা হচ্ছেন ভারতীয়রা!

ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযানে বারুদের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বে। বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশটির  বিরুদ্ধে অনেকটা অসম যুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। রাশিয়ার আগ্রাসনে হাল ছাড়েননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অসীম সাহস ও বীরত্বের  জন্য বিশ্বব্যাপী সুখ্যাতি পেয়েছেন এই ইউক্রেনিয় নেতা। ভারতেও এর প্রতিফলন দেখা গেল।

জেলেনস্কির এই সুখ্যাতি কাজে লাগাচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার ভারতের বাজারে এলো ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নামে চা। অ্যারোমিকা টি সিটিসি টি-এর নামকরণ হয়েছে তার নামে (জেলেনস্কি চা)।

ভঅরতের আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বাজার এখন সরগরম জেলেনস্কি চায়ে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধকে পুঁজি করে ভারতীয় একটি স্টার্ট আপ সংস্থা আসামে নিয়ে এসেছে ‘জেলেনস্কি চা’। এই সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অসীম সাহস আর বীরত্বকে সম্মান জানাতেই তাদের নতুন চা-ব্র্যান্ডের নাম দেয়া হয়েছে জেলেনস্কি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চায়ের কাপে আগেই ঝড় তুলেছিল। এ বার মিশে গেল লিকারেও।

অ্যারোমেটিক টি-এর ডিরেক্টর রঞ্জিত বড়ুয়া সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, বুধবার ‘জেলেনস্কি’ ব্র্যান্ড চা লঞ্চ করা হয়েছে। এটি একটি কড়া আসাম সিটিসি চা। 

তিনি আরও বলেন, মূল ধারণাটি হল ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির বীরত্ব ও সাহসকে সম্মান জানানো যিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে পালানোর মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। জেলেনস্কি বলেছিলেন যে তার একটি পালানোর প্রয়োজন নেই, তবে গোলাবারুদ দরকার। এটি তার চরিত্রকে দেখায়।আর আমরা তার চরিত্র, বীরত্ব এবং আসামের চায়ের মধ্যে একটি সাদৃশ্য আঁকতে চেষ্টা করছি।

রণজিৎ বড়ুয়া আরও জানান, জেলেনস্কি নামের ওই চায়ের লিকার খুবই কড়া। রণজিৎ বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের জনগণ ও সৈন্যদের সাহস জুগিয়ে যাচ্ছেন জেলেনস্কি। তার সেই সাহস ও বীরত্বকে সম্মান জানানোই ছিল আমাদের মূল উদ্দেশ্য।

ন্যাটোতে যোগদানের আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ন্যাটোতে যোগদানের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন মার্কিনপন্থী। সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙে ইউক্রেন গঠনের পর থেকে দেশটির সরকার সবসময় রাশিয়ার অনুগত ছিলো। প্রথমবারের মতো জেলেনস্কি এই বৃত্ত থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি রাশিয়ার শত্রু আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন।

একই সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখছিলেন। যা ভালো ভাবে নেয়নি রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয় রাশিয়ার ওপর। এতে রাশিয়া বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাশিয়াও পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। রাশিয়া ইউরোপের অন্যতম গ্যাস ও তেল রপ্তানিকারক। যে কারণে যুদ্ধের পর বিশ্বে তেলের দাম হু হু করে বেড়েছে।

Link copied!