মার্চ ৩, ২০২৪, ০২:৫৬ পিএম
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে সর্বাধিক রেমিটেন্স পেয়েছে বাংলাদেশ। গতমাসে প্রায় ২১৬ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বৈধ পথে দেশে এসেছে। দেশের চাপের মধ্যে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের জন্য যা কিছুটা হলেও স্বস্তির কারণ হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, এক বছরের আগের একই মাসের তুলনায় গত ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
ব্যাংকাররা বলছেন, বাজারে ডলারের ঘাটতি থাকায় অনেক ব্যাংকই রেমিট্যান্সের ডলার কেনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে যে দর নির্ধারণ করা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি দামে কিনছে।
আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় জানুয়ারিতে রেমিট্যান্সে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। তখন ২১০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পায় বাংলাদেশ, যা ছিল সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৮ কোটি ডলার।
এর আগে ২০২৩ সালের জুনে ২১৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে আসে, যা একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসার রেকর্ড করে।
এদিকে জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স বাড়লেও, তাতে রিজার্ভের পতন থামেনি। যা ওই সময় ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে বা ১৯.৯৪ বিলিয়নে নেমে আসে।
২০২৩ সালের মার্চের তুলনায় এপ্রিলে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশিদের দেশে পাঠানো অর্থের পরিমাণ ১৫ কোটি ১০ লাখ ডলার কমে যায়। রেমিট্যান্সের ডলার কিনতে ব্যাংকগুলোর কম দর দেওয়াই যার পেছনে ভূমিকা রাখে। তবে প্রতিবছর রমজান ও ঈদ উপলক্ষে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে দেখা যায়।
বর্তমানে রেমিট্যান্সের এক ডলার কেনার জন্য ঘোষিত দর হচ্ছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।