মার্চ ২৩, ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
পায়রা বন্দর অর্থনীতির জন্য বিষফোড়া বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, এ বন্দর সচল রাখতে প্রতিবছর দুটি ড্রেজার লাগবে, যা খরচ বাড়াবে। ওই অঞ্চলের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নিয়মিত কয়লা আনতে হবে।
রোববার, ২৩ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি আরও বলেন, ‘পায়রা সমুদ্রবন্দর বলা হলেও মূলত একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আনতে এ বন্দর করা হচ্ছে। পায়রাবন্দর তো সমুদ্রবন্দর হওয়া দূরের কথা। আবার নদীবন্দরও হবে না। অনেকটা ঘাটের মতো হতে পারে। ছোট ছোট নৌযান চলাচলের উপযোগী বন্দর। এ পায়রা বন্দর প্রকল্পে অনেক অর্থ খরচ হয়ে গেছে। মাঝপথে এসে প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হবে কি না, তা বিবেচনার বিষয়। তিনি বলেন, ‘প্রকল্প খরচ শুরুর আগে বা প্রকল্প নেওয়ার আগে থাকলে এই প্রকল্প নিতাম না।’
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, তার নেতৃত্বে একটি দল পায়রা বন্দর এলাকা সরেজমিন ঘুরে এসে পুরো প্রকল্পটি মূল্যায়ন করবে। তারপর এ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, ইতিমধ্যে পায়রা বন্দর প্রকল্পের ৭২ শতাংশ বাহ্যিক অগ্রগতি হয়েছে। প্রকল্পের অর্ধেক টাকা খরচ হয়ে গেছে।
একনেক সভায় পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের সংশোধনী প্রকল্পসহ ১৫টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২১ হাজার ১৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ১৪ হাজার ১৯৩ কোটি, বৈদেশিক ঋণের ৬ হাজার ৫৩৯ কোটি ২৯ লাখ ও সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৪০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।