আগস্ট ১৮, ২০২৪, ০৭:৩৭ এএম
বড় বড় ঋণ খেলাপিদের ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (১৮ আগস্ট) দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এ সময় তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “আপনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন। আপনার জানার কথা, ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তাদের ব্যাপারে আপনারা কী করবেন?”
জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর উপস্থিত ছিলেন। ওনাকে খেলাপি ঋণের ব্যাপারে বলা হয়েছে। আমার সময়ে ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। এখন সেটা কয়েক গুণ বেড়েছে। খেলাপি ঋণ বৃদ্ধিতে মূল দায় যেমন ব্যাংকের, তেমনই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়ও আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক খেলাপি গ্রাহকের ঋণ বারবার পুনঃতফশিল করেছে, রেয়াতি সুবিধা দিয়েছে। আমি বলেছি, এগুলো দ্রুত বন্ধ করতে হবে। আর কোনো নতুন রেয়াতি সুবিধা দেওয়া যাবে না। ঋণ পুনঃতফশিল করা যাবে না। আর যারা করেছে তাদের চিহ্নিত করে বিশেষ করে বড়গুলোকে ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্ত্বশাসনের বিষয়ে এই অর্থনীতিবিদের মতামত জানার জন্য প্রশ্ন করা হয়, “বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন নেই। সরকারি হস্তক্ষেপসহ আরও নানা কথা বলা হয়। এটা আইনের সমস্যা নাকি ব্যক্তির সমস্যা, আপনার কী মনে হয়?”
জবাবে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমি মনে করি এটা ব্যক্তির সমস্যা। বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনটা যথেষ্ট ভালো এবং যথেষ্ট ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। হ্যাঁ, কিছু কিছু জিনিস আছে, যেটা সরকারের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। কিন্তু সেটা ডে টু ডে না। এমনকি মনিটরি পলিসি কী হবে, সুদহার কত হবে, বিনিময় হার কী হবে- এগুলো সম্পূর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব। এরপর আছে খেলাপি ঋণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, এটাও বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব।”
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকে স্বায়ত্ত্বশাসন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক চাইলে তো অনেক উদ্যোগ নিতে পারে। হঠাৎ করে ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়া হলো। অথচ এটা নিয়ে কোনো হোমওয়ার্কও করেনি। আমার মনে হয় এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের যথেষ্ট স্বায়ত্তশাসন আছে।”
এই অর্থনীতিবিদের ভাষ্য, “কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনের কিছুটা সীমাবদ্ধতা আছে। তবে আমার মনে হয় বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারে ততটা নয়। ব্যাংক কোম্পানি আইনে কিছুটা ত্রুটি আছে।”