প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

মার্চ ২২, ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

প্রতীকী ছবি

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

২০২৩ সালের শেষভাগে সামগ্রিক বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১০০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে উপনীত হয়েছে। ১ বছর আগে যা ছিল ৯৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৪ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট ঋণের ৭৯ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার নিয়েছে সরকারি খাত। আর বাকিটা নিয়েছে বেসরকারি খাত। এর মধ্যে ৮৫ শতাংশ ঋণ দীর্ঘমেয়াদী। এছাড়া বাকিগুলো স্বল্পমেয়াদী।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে তা দাঁড়ায় ৯৮ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারে। এর মানে গত ৮ বছরে দেশের বিদেশি ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। গত ডিসেম্বর শেষে সেটি আরও বেড়েছে।

জনশুমারি ও গৃহগণনা শুমারির সবশেষ উপাত্ত অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসাবে গত ডিসেম্বরের পরে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৯২ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬৫ হাজার টাকা। তবে গত জুনের হিসাবে তা ছিল ৫৭৪ ডলার। ৮ বছর আগে যা ছিল ২৫৭ ডলারের কিছু বেশি।

বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মতো সংস্থা এবং জাপান, চীন, রাশিয়া ও ভারতের মতো দেশের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি বিদেশি ঋণ নিয়েছে সরকার। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হিসাবায়নে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে শীর্ষ ঋণদাতা দেশ ছিল জাপান ও চীন। পাশাপাশি সংস্থার মধ্যে ঋণদানে শীর্ষে ছিল বিশ্বব্যাংক ও এডিবি।

Link copied!