নভেম্বর ৩, ২০২৩, ১২:১২ পিএম
বাজারে পেঁয়াজের দাম শুনেই ঠাঁয় দাড়িয়ে ছিলেন নির্ঝর-কণিকা দম্পতি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দুজনের বেতন দিয়েও যেন বাজার করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। প্রথমে এসেছেন সবজি বাজারে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে খুব অল্প পরিমাণে কাঁচা মরিচ,টমেটো কিনেছেন। তবে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় পেঁয়াজ বাদ রেখেছেন।
কণিকা বড়াল জানান, সবজি বাজার শেষে দুজনেই গিয়েছেন মুদি দোকানে। তেল, ডিটারজেন্ট এবং শীত আসায় বেশ জরুরি কিছু পণ্য কিনেছেন। তেল আগে পাঁচ লিটার কিনলেও এখন দুই লিটার তেল কেনা তাদের জন্য দুঃসাধ্য। মাসের ডিটারজেন্ট যেখানে দুইশো টাকায় পাওয়া যেতো তা এখন দাঁড়িয়েছে পাঁচশো টাকায়। শীত আসায় যে ময়েশ্চারাইজার দুইশো টাকায় পেতেন এখন তা আগের দামের দ্বিগুণ।
কণিকা বড়াল আরও জানান, স্বামী -স্ত্রী দুজনেই আয় করেন তারপরও বাচ্চা, সংসার, বাড়িভাড়া নিয়ে অনেক বেশি হিমশিম খাচ্ছেন । দুজনের বেতনের পুরোটা দিয়েও মাস শেষে অনেকটাই হাত খালি থাকে তাদের ।
তেল,মসলা শেষে দুজনেই গেছেন মাছ মাংসের বাজারে। যেখানে শাক সবজির এত দাম সেখানে সীমিত বাজেটে মাংস কেনা যে হবে না তা হয়তো আগেই জানত এই দম্পতি। তবে শেষমেষ স্বল্পমূল্যে পাবদা কিনেই আমিষের চাহিদা মেটালেন তারা।
নির্ঝর কুমার জানান, খাসির মাংস আগে প্রতি সপ্তাহে কেনা হতো কিন্তু বর্তমানে এক কেজি খাসির মাংস ১১০০ টাকা যা দিয়ে দুই সপ্তাহের সবজি বাজার করা যায় । দুজনের বেতন সর্বমোট ৩৫ হাজার হলেও এখন এক কেজি খাসির মাংস তাদের জন্য বিলাসিতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মাছ, মাংস,সবজির বাজার নিয়ে শুধুমাত্র নির্ঝর-কণিকা নয় হতাশ সব ক্রেতাই ।
পেঁয়াজের বাজারে গিয়ে একজন ক্রেতা জানান, বিশ হাজার টাকা বেতনে সম্ভব হচ্ছে না বাজার করা।
সেই ক্রেতা নাহিদ দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, একা থাকি তারপরও বিশ হাজার টাকা বেতনে গরুর মাংস তো দূরে থাক মাংস রান্নার পেঁয়াজ কিনতেই হিমশিম খাচ্ছেন। এভাবেই যদি চলতে থাকে না খেয়েই থাকতে হবে।
পেঁয়াজ আড়তের মালিক জমির উদ্দিন বলেন, পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হওয়া এবং ভারতীয় পেঁয়াজের রপ্তানি দাম বৃদ্ধিতে দাম অনেকটাই বেড়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যতে ক্ষুব্ধ নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত আয়ের মানুষ।