অক্টোবর ২১, ২০২৩, ০৫:১৮ এএম
সাত দিনের ব্যবধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ১১ কোটি ডলার কমে ২১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখন যে প্রকৃত রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে শুধু তিন মাসের আমদানি খরচ মেটানো যাবে, অন্য কোনো খরচ নয়। সাধারণত একটি দেশের কাছে ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম একটি সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার এই রিজার্ভ।
প্রতিবেদন বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুসরণ করলে গত বুধবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯৬ কোটি ডলার, যা এর এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ ১১ অক্টোবর ছিল ২ হাজার ১০৭ কোটি ডলার।
২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি বা ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। গত বছরের ১৮ অক্টোবর সেই রিজার্ভ কমে হয় ৩ হাজার ৬১১ কোটি ডলার। গত বুধবার তা ২ হাজার ৬৬৮ কোটি ডলারে নেমেছে। যদিও আইএমএফ হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ২ হাজার ৯৬ কোটি ডলার বলে মনে করা হয়।
এর বাইরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। সেই হিসাব প্রকাশ করা হয় না। আইএমএফ সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১ হাজার ৭০০ কোটি বা ১৭ বিলিয়ন ডলারের কম।
৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আইএমএফের দেয়া বেশ কয়েকটি শর্তের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বরে প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৬৮০ ডলারে থাকতে হবে। বাংলাদেশ অবশ্য আইএমএফকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে শর্ত অনুযায়ী রিজার্ভ রাখতে যাবে না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএফ শর্ত শিথিল করেছে। নতুন লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে, ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকৃত (নিট) রিজার্ভ রাখতে হবে ১ হাজার ৮০০ কোটি এবং আগামী জুনের মধ্যে তা ২ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করতে হবে।