এবার প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হবে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) এরই মধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কমতে পারে যেসব পণ্যের দাম: পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্য তেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা, সব ধরনের ফলসহ ৩০টি পণ্যে করছাড় দেওয়া হচ্ছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমবে।
আরও পড়ুন: চাল-আটা-ময়দা-তেলসহ যেসব পণ্যের দাম বাড়বে
নতুন বাজেট ঘোষণার পর বেশ কিছু পণ্যের দামের পরিবর্তিত হয়। সরকার কিছু পণ্যে শুল্ক ও কর প্রত্যাহার করে, ফলে সেসব পণ্যের দাম কমতে পারে। এবছর উপস্থাপিত বাজেটে যেসব খাতে বা পণ্যের দাম কমতে পারে।
মোবাইল: মোবাইল ফোন ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য উৎপাদনে দেয়া কর অব্যাহতির সুবিধা আরো কমানোর কথা ভাবছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর।
ল্যাপটপ: দেশের বাজারে রিফার্বিশড ও নকল পণ্যের প্রবেশ ঠেকাতে এবং স্থানীয় ফ্রিল্যান্সার ও সফটওয়্যার ডেভেলপারদের সহায়তা করতে আগামী অর্থ বছরে ল্যাপটপ আমদানি শুল্ককর কমানো হতে পারে।
এনবিআর সূত্র জানায়, দেশীয় শিল্পের বিকাশে ২০২৩-২৪ বাজেটে ল্যাপটপ-কম্পিউটার আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। ফলে আমদানিকারকদের বর্তমানে ল্যাপটপ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্কসহ বর্তমানে ল্যাপটপে আমদানি মোট ৩১ শতাংশ শুল্ককর দিতে হয়। তবে নতুন ২০২৪-২৫ বাজেটে এ পণ্যটিতে শুল্ককর ১০ শতাংশ কমিয়ে ২০ দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।
ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী: রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনসহ ইলেকট্রনিকস পণ্যের দাম কমতে পারে বলে জানা গেছে।
কৃষিযন্ত্র: কৃষি উপকরণ আমদানিতে শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখা হলেও কৃষিকাজের যন্ত্রের দাম কমতে পারে। রাজস্ব আদায় বাড়াতে বিত্তবানদের ওপর বাড়তি করারোপের পরিকল্পনা করছে এনবিআর। ১৬ লাখ টাকার বেশি বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তি পর্যায়ের কর হার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হচ্ছে। বিভিন্ন খাতে কর অব্যাহতি হ্রাস এবং শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ থেকে মূলধনি আয়ের ওপর কর ছাড় প্রত্যাহারের পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।
কমতে পারে নিত্যপণ্যের দাম: এনবিআরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, এবারের বাজেটে কর ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন না হলেও নিত্যপণ্য আমদানিতে বিশেষ ছাড় দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কর ও ভ্যাট কমানোর মতো সুযোগ রয়েছে।
করমুক্ত আয়ের সীমা: আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ছে না। তবে করদাতার হয়রানি কমাতে আয়কর রিটার্ন অ্যাসেসমেন্টের বিধান বাতিল করা হচ্ছে। এ জন্য বাজেটে আয়কর আইনে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে এনবিআর। এ সিদ্ধান্তের ফলে ব্যক্তি ও কোম্পানি দুই শ্রেণির করদাতাই কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে।
করপোরেট করহার: শর্তসাপেক্ষে করপোরেট করহার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। উৎপাদনশীল খাতে তালিকাভুক্ত নয় এমন শিল্পে কর সাড়ে ২৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা করা হতে পারে। তবে অন্য সব খাতে কর অপরিবর্তিত থাকবে।