ছয় মাস পেছালো খোলা সয়াবিন বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ৮, ২০২৩, ০২:৪৮ পিএম

ছয় মাস পেছালো খোলা সয়াবিন বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত

সংগৃহীত ছবি

বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের জন্য বাড়লো আরও সময়। আগামী ছয় মাস পর্যন্ত খোলা সয়াবিন তেল মিলবে বাজারে। চাহিদার শতভাগ সয়াবিন তেল প্যাকেটজাত করে বিপণনের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত না থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। 

খোলা ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ বন্ধের বিষয়ে একমত হলেও শতভাগ ভোজ্যতেল প্যাকেটজাত করে বিপণনের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা এখনও প্রস্তুত না। সরকারের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে তাদের আরও সময় প্রয়োজন। তাই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, সকলের সমন্বয়ে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে বাজারে সম্পূর্ণরূপে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করতে চাই। ব্যবসায়ীরা খোলা বাজারে ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধের জন্য আরও সময় চান। তবে ৬ মাসের মধ্যে খোলা বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালের আইনে ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ অন্তর্ভুক্তকরণের বিষয়টি সম্পৃক্ত করা হয়। এ ছাড়া ২০১৯ সালের আইনে ভোজ্যতেল প্যাকেট বা বোতলজাত করার বিধান রাখা হয়েছে। এর জন্য গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারিত ছিল। এ সময়ের মধ্যে ভোজ্যতেল প্রস্তুত ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান শতভাগ বোতলজাত ও প্যাকেটজাত করতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, খোলা সয়াবিন তেলে ভেজাল দেওয়া হচ্ছে। পাম তেল সয়াবিন বলে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। কেজিতে ২০ টাকার ওপরে দাম দিতে বাধ্য হচ্ছে। এ অবস্থায় আইনটি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধে এর আগেও একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকর করা যায়নি।

সফিকুজ্জামান বলেন, খোলা তেলের ড্রামগুলো বেশিরভাগই কেমিক্যালের ড্রাম। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিও আছে। এসব ড্রামে তেলাপোকা, ইঁদুর পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য পাম ও সয়াবিন তেল বোতলজাত করতে হবে। কেননা ইতোপূর্বে তিনবার তারিখ পেছানো হয়েছে। ৩১ জুলাই পুরোপুরি বোতলজাত করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের সময় চাওয়ার বিষয়টি বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়কে জানাব। আমরা বলেছি, সাত দিনের মধ্যে একটি কর্ম পরিকল্পনা দিতে হবে। যাতে উল্লেখ থাকবে কতদিনের মধ্যে কী কী পদক্ষেপ কম্পানিগুলো নেবে।

Link copied!