রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ‘ফ্রেশ ফুয়েল’ বা পারমাণবিক জ্বালানির তৃতীয় চালান এসেছে। প্রকল্পের সাইট ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বিশেষ নিরাপত্তা প্রটোকলের মাধ্যমে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পারমাণবিক জ্বালানি প্রকল্প এলাকায় এসে পৌঁছায়।’
এর আগে গতকাল (১২ অক্টোবর) বিশেষ বিমানে রাশিয়া থেকে জ্বালানির তৃতীয় চালান ঢাকা বিমানবন্দরে আনা হয়। এরপর বাংলাদেশ আণবিক শক্তি সংস্থার পক্ষ থেকে সেটা গ্রহণ করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার জ্বালানির তৃতীয় চালান বিশেষ বিমানে রাশিয়া থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ইউনিটের জন্য ৭টি ব্যাচে ১৬৮টি আসেম্বলড ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল এ বছরের মধ্যেই প্রকল্প এলাকায় এসে পৌঁছাবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শওকত আকবর বলেন, ‘প্রকল্পের শিডিউল অনুযায়ী ২০২৪ সালে প্রথম ইউনিটের কমিশনিং হবে। প্রথম ইউনিটের কমিশনিংয়ের জন্য ১৬৩টি আসেম্বলড ফুয়েল প্রয়োজন হবে। এ জন্য ৭টি চালানে ১৬৮টি আসেম্বলড ফুয়েল এ বছরের মধ্যে দেশে এসে পৌঁছাবে।’
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর পারমাণবিক জ্বালানির প্রথম চালান এবং গত শুক্রবার ৬ অক্টোবর দ্বিতীয় চালানের জ্বালানি প্রকল্প এলাকায় এসে পৌঁছায়।
পারমাণবিক জ্বালানি প্রকল্প এলাকায় পৌঁছানোর পর সেগুলো আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, আনলোড, যাচাই-বাছাই এবং পরিমাপ করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানান প্রকল্পের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
এদিকে পারমাণবিক জ্বালানি পরিবহনের জন্য শুক্রবার প্রকল্প এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পারমাণবিক জ্বালানি পরিবহনের সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
পাকশি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিশ কুমার সান্যাল বলেন, ‘পারমাণবিক জ্বালানি পরিবহনের সময় মহাসরকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ জন্য সকালে ঘণ্টাখানেক কুষ্টিয়া-বনপাড়া মহাসরকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।’
জ্বালানির চলান প্রকল্প এলাকায় পৌঁছানোর পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর গ্রাজুয়েশন সেরিমনির মাধ্যম রূপপুর প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশের কাছে পারমাণবিক জ্বালানির সার্টিফিকেট ও মডেল হস্তান্তর করে রাশিয়া। এর মাধ্যমে বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকারী দেশ হয় বাংলাদেশ।