আগস্ট ২৭, ২০২৩, ০৬:৫০ পিএম
প্রায় ৯ লাখ তরুণ ও যুবকদের প্রশিক্ষিত করে কর্মবাজারের উপযোগী করতে বাংলাদেশকে ৩০ কোটি ডলার বা প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। গ্রামীণ যুব কর্মসংস্থান তৈরির এই প্রশিক্ষণে ৬০ শতাংশই থাকবেন নারী।
ইকোনমিক এক্সিলারেশন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ফর নিট (আর্ন) প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ ব্যয় করা হবে। এজন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
এতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান ও বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৈলায়ে সেক। বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকল্পটি অর্থনৈতিক উত্তরণ এবং স্থিতিস্থাপকতা সৃষ্টিতে বাধা অতিক্রম করতে সাহায্য করবে; যা সুবিধাবঞ্চিত এবং দুর্বল যুবকদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান লাভের সুযোগ দেবে। এটি গ্রামীণ যুবকদের দক্ষতা প্রশিক্ষণ, বিকল্প শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা সহায়তা দেবে। যারা শিক্ষা, কর্মসংস্থান বা প্রশিক্ষণে নেই। প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন দক্ষতা বিকাশের সুযোগ দেওয়ার জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
শরিফা খান বলেন, সরকার যুবকদের, বিশেষ করে নারী ও সুবিধাবঞ্চিতদের, যারা দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষা বা কর্মসংস্থানে নেই তাদের অর্থনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ এর সঙ্গে সংযুক্ত এবং ২০২৬ সালে দেশের এলডিসি অবস্থা থেকে স্নাতক হওয়া এবং ভিশন ২০৪১-কে সমর্থন করে। এটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার জন্য একটি ব্যাপক সহায়তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকারের পরিকল্পনা ও নীতিগুলোকে সমর্থন করবে।
আবদৈলায়ে সেক বলেন, একটি সুসজ্জিত প্রতিযোগিতামূলক কর্মীবাহিনী তৈরি করা হবে। যেখানে কোনও তরুণকে বাদ দেওয়া হবে না। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অগ্রাধিকার। প্রকল্পটি দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষার ধারাবাহিকতা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগের মাধ্যমে একটি প্রতিযোগিতামূলক কর্মী বাহিনী গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
পাশাপাশি অন্তর্নিহিত সাংস্কৃতিক ও সামাজিক নিয়মগুলোকে মোকাবিলা করবে, যা বিশেষ করে নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে।