জানুয়ারি ৩০, ২০২২, ০৭:৫৭ পিএম
আগামী অর্থবছরে দেশের গড় মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ৮৯ মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। রবিবার দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস আমরা যা বলেছি সেটা অর্জন করতে সক্ষম হবো। আগামী বছর আমাদের মাথাপিছু আয় তিন হাজার ৮৯ মার্কিন ডলার হবে, সে বছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৫ শতাংশ, এটা আমার মোটামুটি হিসাব। তিনি আরও বলেন, গতবছর জিডিপিতে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ বছর জিডিপিতে আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এই বছর আমাদের জিডিপির আকার হবে ৪৫৫ বিলিয়ন ডলার। এই ৪৫৫ বিলিয়ন ডলার জিডিপিকে আমাদের যে জনগোষ্ঠী আছে তার সঙ্গে ভাগ দিলেই মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৭৮৫ ডলারে উন্নীত হবে। এটি হচ্ছে আমাদের এই বছরের হিসাব। আশা করি, আগামী অর্থবছরে আমাদের জিডিপির আকার অর্ধ ট্রিলিয়নের মাইলফলক স্পর্শ করবে।
তিনি বলেন, আইএমএফ সবসময় বিশ্বের অর্থনীতি একদিকে বিশ্লেষণ করে, অন্যদিকে তাদের পর্যবেক্ষণ বা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আমরা প্রত্যাশা করছি ৭.২ শতাংশ, এর বিপরীত আইএমএফ বলছে আমাদের ৬.৬ শতাংশ আমরা অর্জন করতে সক্ষম হবো। আইএমএফ সবসময় কনজারবেটিভলি তাদের সংশ্লিষ্টরা সব দেশের জন্যই সেভাবেই প্রক্ষেপণ করে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত কমিটির তিনটি ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৬টি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাতটি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তিনটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের তিনটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি, জননিরাপত্তা বিভাগের একটি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল।
তিনি বলেন, ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদিত ১৬টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩৮৭ কোটি ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৬৪ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি হতে ব্যয় হবে ৪৪৯ কোটি ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮১ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও বৈদেশিক ঋণ ৯৩৭ কোটি ৯০ লাখ ৩২ হাজার ১৮৩ টাকা।