আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপী ও অনাদায়ী ঋণের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

মে ৩০, ২০২৩, ০১:১৮ এএম

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপী ও অনাদায়ী ঋণের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে খেলাপী ও অনাদায়ী ঋণের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব ঋণের যাবতীয় তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

একইসাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের স্ব স্ব খেলাপী, অনাদায়ী, অনিয়মিত ও সীমার অতিরিক্ত ঋণগ্রহীতার তথ্য নিজস্ব কার্যালয়ে ড্যাশবোর্ড স্হাপন করে তাতে সংরক্ষণ ও নিয়মিত আপডেট করতে নির্দেশ দিয়েছে।

নির্দেশ অনুযায়ী, পূর্ববর্তী মাসের সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রেরণ ও নিজস্ব ড্যাশবোর্ডে আপডেট করতে হবে।

সোমবার (২৯ মে) ডিপার্টমেন্ট অব ফাইনান্সিয়াল ইনস্টিটিউট এন্ড মার্কেট (ডিএফআইএম) সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে এ নির্দেশে দেয়।

ডিআইএফএম নির্দেশে বলা হয়, কতিপয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের হার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিতরণকৃত ঋণ যথাযথভাবে আদায় না হওয়ার ফলে তারল্য প্রবাহ হ্রাস ইত্যাদির কারণ পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর
বিধান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশনা পরিপালন না করে জামানতবিহীন ও পর্যাপ্ত সহায়ক জামানত গ্রহণ ব্যতিরেকে ঋণ বিতরণ, একক গ্রাহককে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ঋণসুবিধা
প্রদান, ঋণ বিতরণের পূর্বে যথাযথ ডকুমেন্টেশন না করা এবং বিতরণকৃত ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত না করা এসবের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিপালন (আইসিসি) ব্যবস্থাপনার ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা
কোনভাবেই কাম্য নয়।

নির্দেশে বলা হয়, যে কোন প্রকার ঋণ/লিজ/বিনিয়োগ এর ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর বিধান অনুযায়ী পর্যাপ্ত সহায়ক জামানত গ্রহন, ঋণের গুণগত মান ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং ঋণ নিয়মাচার পরিপালনের বিষয়াদি নিবিড়ভাবে তদারকির জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ড্যাশবোর্ড স্থাপন করতে হবে। 
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী এবং অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিপালন বিভাগের প্রধান নিয়মিত উক্ত ড্যাশবোর্ড মনিটরিং করবেন।

এছাড়া, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর বিধান অনুযায়ী সহায়ক জামানত গৃহীত হয়নি, একক গ্রাহকের অনুকূলে প্রদেয় সর্বোচ্চ ঋণের সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে, ঋণের সদ্ব্যবহার সংক্রান্ত সার্কুলার পরিপালিত হয়নি এবং ঋণের নিয়মাচার সংক্রান্ত নীতিমালা পরিপালিত হয়নি এরূপ ঋণের তথ্য প্রত্যেক মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে আবশ্যিকভাবে অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিপালন বিভাগের প্রধান এর স্বাক্ষরে বিবরণী আকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে প্রেরণ করতে হবে।

নির্দেশে আরও বলা হয়, গুরুতর অনিয়ম উদ্ঘাটিত হলে যা ঋণশৃঙ্খলা বিরোধী এবং ভবিষ্যতে ঋণ আদায় ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এরূপ ক্ষেত্রে এ নির্দেশনায় বর্ণিত প্রতিবেদন দাখিলের সর্বশেষ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা না করে তা তাৎক্ষণিকভাবে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংক কে অবহিত করতে হবে।

Link copied!