এপ্রিল ১২, ২০২৩, ১২:০৫ এএম
ব্যাংকগুলোর আভ্যন্তরীণ ঋণের হার বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণে। আসছে ঈদ ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের পাশাপাশি বিনিয়োগে জন্য টাকা উত্তোলন হচ্ছে। যার ফলে ব্যাংকগুলোর আভ্যন্তরীণ ঋণের হারও বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে গত রবিবার কলমানি মার্কেটের মাধ্যমে ব্যাঙ্কগুলো ৮ হাজার ২১৩ কোটি টাকা ধার নিয়েছে, যা বৃহস্পতিবার ছিল ৭ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। আর গত বুধবারে ছিল ৬ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা।
রবিবার ব্যাংকগুলোর নেয়া ওভারনাইট কলমানি রেট ৭.৫০ শতাংশে পৌঁছায়। গত ৬ বছরের মধ্যে চলতি বছরেই এই রেট এত বেশি। চলতি বছরেই আন্তঃব্যাংক ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৬ শতাংশ থেকে ৮.২০ শতাংশের মধ্যে। ৯১ দিন এবং ১৮২ দিনের মেয়াদে আন্তঃব্যাংক ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশ। যেখানে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ঋণের হারই ৯ শতাংশ।
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল বলেন,রেট বাড়ার কারণে ব্যাংকগুলোর কস্ট অব ফান্ড বেড়ে যাবে। যেটি আল্টিমেটলি ব্যাংকগুলোর ব্যালেন্স শিটকে ছোট করবে।
লোনে ৯ শতাংশ ক্যাপ থাকার কারণে আমরা সেটিও বাড়াতে পারছি না। ফলে আমাদের ইন্টারেস্ট ইনকাম কমবে। ফরেইন ট্রান্সেকশন কমে আসায় সেখান থেকে কমিশনের প্রফিটও কমছে।
গত বৃহস্পতিবার ২০টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রেপো, লিকুইডিটি সাপোর্ট ফ্যাসিলিটি এবং ইসলামিক ব্যাংক লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটি (আইবিএলএফ) এর আওতায় ৫ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।
এর মধ্যে আটটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৭ দিনের মেয়াদে রেপো সুবিধার অধীনে ২,৫২৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে; ছয়টি ব্যাংক তিন দিনের মেয়াদে তারল্য সহায়তা সুবিধার অধীনে ২,৬১০.৭৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে এবং তিনটি ব্যাংক ১৪ দিনের মেয়াদে ইসলামী ব্যাংকের তারল্য সুবিধা হিসাবে ৫৯৫.০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।
৭-দিনের মেয়াদের রেপোর সুদের হার হল ৬.১০ শতাংশ, এবং ৩-দিনের মেয়াদের তারল্য সমর্থন সুবিধার জন্য এটি বার্ষিক ৬ শতাংশ। ১৪ দিনের মেয়াদে ইসলামী ব্যাংকের তারল্য সুবিধার জন্য প্রত্যাশিত মুনাফার হার (ইপিআর) হল ৬ শতাংশ থেকে ৭.০০ শতাংশ।