করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ডিজিটাল পদ্ধতিতেই চলছে নতুন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী তৈরির কাজ। এরইমধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপি তৈরির নীতিমালা জারি করাসহ প্রথম কলনোটিশের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কাছ থেকে চাহিদা সংগ্রহ সবই করা হয়েছে অনলাইনে। রবিবার (১১ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে বরাদ্দহীন অননুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারণের জন্য চারদিনের সিরিজ বৈঠক। সবগুলোই অনুষ্ঠিত হবে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতেই। এ সব বৈঠকে সভাপতিত্ব করবে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জয়নুল বারী।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা বিভাগের একাধিক কর্মকতা জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই অফিসগুলোতে কাজকর্মে ঢিলেঢালা ভাব ছিল। বলতে গেলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক ছিল। এরই মধ্যে গত ৫ মে থেকে সরকার কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করায় একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ অফিসে আসতে চাইছেন না। এ অবস্থায় ডিজিটাল পদ্ধতিই একমাত্র ভরসা।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জয়নুল বারী বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও আমরা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। এডিপি তৈরির একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো বরাদ্দহীন অনুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকা তৈরি করা করা। কেননা এসব প্রকল্প থেকেই আগামী অর্থবছর অনুমোদন প্রক্রিয়া করা হবে। তাই আমরা বৈঠক করতে যাচ্ছি।’
সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের এডিপির জন্য বরাদ্দহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প অর্ন্তভূক্তির প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় প্রোগ্রামিং কমিটির সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ জন্য গত ৬ প্রপ্রিল মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে চিঠি পাঠায় পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ। চিঠিতে বলা হয়েছে জুম অ্যাপস এর মাধ্যমে ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১৮, ১৯ এবং ২০ এপ্রিল এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এসব বৈঠকে যুগ্ম প্রধান, যুগ্ম সচিব অথবা সংস্থা প্রধান পর্যায়ের নিম্মে নয় এমন কর্মকর্তাদেও প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানানো হলো।
এদিকে এরই মধ্যে সিরিজ বৈঠকের মাধ্যমে মাধ্যমে আগামী অর্থবছরের জন্য বৈদেশিক সহায়তা অংশ নির্ধারণ করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। এক্ষেত্রে বৈদেশিক সহায়তা অংশ ধরা হয়েছে ৮৯ হাজার কোটি টাকা। যেটি চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির তুলনায় ১৮ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা এবং সংশোধিত এডিপির তুলনায় ২৬ হাজার কোটি টাকা বেশি।