বিগত লকডাউনের সময় ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধে দেওয়া বিশেষ ছাড় প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার (২৬ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারিকৃত এক সার্কুলারে জানানো হয়, এখন থেকে আবারো ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধে নির্ধারিত তারিখের পরের দিন থেকেই ক্রেডিট কার্ডের অপরিশোধিত বিলের ওপর সুদ আরোপ করতে পারবে ব্যাংকগুলো।
চলমান করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ মোকবেলায় চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত জনসাধারণের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। সেসময় ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের মাসিক বিল পরিশোধে দেরি হলেও ‘বিলম্ব পরিশোধ ফি’ ও কার্ডে সুদ স্থগিত করা হয়। তবে দেশের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড চালু হয়ে যাওয়ায় এই সুবিধা তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ এক সার্কুলারে এ সুবিধা প্রত্যাহার করতে নিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়। সার্কুলারে বলা হয়, ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের জন্য নির্ধারিত তারিখের পরের দিন থেকেই ক্রেডিট কার্ডের অপরিশোধিত বিলের ওপর সুদ বা মুনাফা আরোপ করাতে পারবে ব্যাংকগুলো। তবে কোনভাবেই লেনদেনের তারিখ থেকে সুদ আরোপ করতে পারবে না ব্যাংকগুলো। এছাড়া দেরিতে পরিশোধ করা হলে কোনো বিলের বিপরীতে কেবল একবারই বিলম্ব ফি আরোপ করতে পারবে তারা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আভাস পাওয়ার পরপরই সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের ফলে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গ্রাহকের পক্ষে ক্রেডিট কার্ডের বিল দিতে ব্যাংকে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে নিয়মিত বিল পরিশোধে ছাড় দিতে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক। গতকালের সার্কুলারে এই সুবিধা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
একই সার্কুলারে জানানো হয়, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ব্যক্তি-ব্যক্তির লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রতিমাসে সর্বোচ্চ সীমা ২ লাখ টাকা থেকে কমানো হবে না। করোনার মধ্যে আর্থিক লেনদেনের সুবিধার্থে এই সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়।