মে ১৪, ২০২৩, ০৬:২৭ পিএম
বাজারে ক্রমাগত মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিত বিবেচনা করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় এ কথা বলেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
তিনি বলেন, কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
সভায় দেওয়া তথ্যমতে এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুদ আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। আর দেশে বাৎসরিক পেঁয়াজের চাহিদা ২৬ থেকে ২৮ লাখ মেট্রিক টন।
বাজার পর্যবেক্ষণ বিষয়ে সভায় বলা হয়, সামনে মুসলমান সম্প্রদায়ের বৃহত্তর উৎসব কোরবানির ঈদ থাকায় পেঁয়াজের চাহিদা বাড়বে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পরিকল্পিতভাবে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হতে পারে।
কৃষি সচিব বলেন, উৎপাদন ও মজুদ বিবেচনায় দেশে এই মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। অথচ বাজারে দাম কিছুটা বেশি। কৃষি মন্ত্রণালয় দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের বাজার সবসময় মনিটর করছে। দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকলে শীঘ্রই পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: মাসুদ করিম, মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অধিশাখার উপসচিব মুনসুর আলম খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশি। কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে বা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে দ্রুত পচনশীল এ নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ৩০-৩৫ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়।
সভায় আরও জানানো হয়, বর্তমানে এক কেজি দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ ২৮ থেকে ৩০ টাকা। গতবছর ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি উন্মুক্ত থাকার কারণে আমদানি বেশি হয়েছিল। দেশি পেঁয়াজের বাজারদর কম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ছিল। কৃষকেরা কম দাম পেয়েছিল। সেজন্য, পেঁয়াজ চাষে কৃষকের আগ্রহ ধরে রাখতে এবছর পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।