সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩, ০৫:৫০ পিএম
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে লাগাম টানতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ডিম, পেঁয়াজ,আলু ও সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যদিও আজ শুক্রবার ঢাকার কাওরান বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি হতে দেখা যায়নি।
দাম নির্ধারণের একদিনের মধ্যে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম, পেঁয়াজ ও আলু। ডিমের হালি ৫০, আলু ৪৫-৫০ এবং দেশি পেঁয়াজ ৭৫-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকারি দাম কমেনি। তাদের পক্ষে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না।
কারওয়ান বাজার থেকে এক ক্রেতা এক কেজি পেঁয়াজ ৭৫ টাকায় ও আলু ৪৫ টাকায় কেনেন। তিনি জানান,সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও আগের মতই দাম রয়েছে। সরকার শুধু দাম নির্ধারণ করলেই হবে না। বাজারে তৎপরতা চালাতে হবে।
এক ডিম ব্যবসায়ী জানান, "ডিমের উৎপাদন কম তাই ডিমের দাম বেশি । আমাদের কিনতে হয় বেশি দামে , ভাড়া খরচ, আবার কিছু ডিম ভেঙে যায়। সব মিলেয়ে প্রতি ডিমের দাম ১২ টাকার উপরে পরে যায় । আমরা ১২ টাকায় ডিম বিক্রি করব কেমনে?"
কারওয়ান বাজারের আলু, পেঁয়াজ ও রসুন ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ জানান, "আজ সকালে পাইকারি বাজার থেকে আলু ৩৯ টাকা এবং পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। কমে কিনতে না পাড়লে সরকারের দামে বেচবো কেমনে?" কাওরান বাজারে সব দোকানের চিত্রই এক। সরকার নির্ধারিত দামে এসব নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে না।
আলুর কেজি ৩৬ টাকা, ডিম প্রতি ১২ টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল ও খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারের দাম যথাক্রমে ১৬৯ টাকা ও ১৫৯ টাকা করা হবে বলে আয়োজিত নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।