পোশাকশিল্পে রপ্তানি কার্যাদেশ কমেছে ৩০ ভাগ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ৩, ২০২৩, ০৬:৩৩ পিএম

পোশাকশিল্পে রপ্তানি কার্যাদেশ কমেছে ৩০ ভাগ

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশের পণ্য রপ্তানি আয় গত বছরের একই মাসের তুলনায় ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ কম হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল - ১০ মাসের হিসেবে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ি সদ্যসমাপ্ত এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। আগের বছরের এপ্রিলে রপ্তানি আয়ের এ পরিমাণ ছিলো ৪৭৩ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

আর জুলাই-এপ্রিল সময়ে মোট আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৬৭ কোটি ৭৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। পুর্ববর্তী অর্থবছরে ওই সময়ে এ আয় ছিলো ৪ হাজার ৩৩৪ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

এপ্রিল ২০২৩ সালের কৌশলগত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৫০৫ কোটি ডলারের তুলনায় আয়ের পরিমাণ ২১ দশমিক ৬৭ শতাংশ নেতিবাচক।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী গত এপ্রিলে  পোশাক শিল্পসহ মাত্র ১৪ ক্যাটাগরির পণ্য রপ্তানীতে আয় আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। আর নেতিবাচক রপ্তানী আয় হয়েছে ৪৫ টি পন্যে।

তবে দেশের তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। কিন্তু এ আয় টেকসই না হবার শঙ্কায় আছেন পোশাক রপ্তানিকারকরা।

বাংলাদেশ পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ আজীম বলেন, রপ্তানি কার্যাদেশ আগের তুলনায় কমপক্ষে ৩০ শতাংশ কমেছে। আসছে জুলাই-আগস্ট মাসের আগে এ পরিস্থিতির উন্নতি হবার সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

শহীদুল্লাহ আজীম ক্লাসিক ফ্যাশনস কনসেপ্ট লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দি রিপোর্ট ডট লাইভ কে তিনি বলেন, "এখন যে প্রবৃদ্ধি দেখছেন তা শুধুমাত্র মুল্য বাড়ার কারণে হয়েছে। কিন্ত ওভার অল রপ্তানি কার্যাদেশ কমেছে। তার মানে পরিমাণ কমে গেছে। এ অবস্থায় অনেক পোশাক শিল্প টিকে থাকতে পারবে না। কারণ ক্রেতা পাওয়া দুস্কর হয়ে গেছে।"

কেনো এ পরিস্থিতি হলো? - এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এর জন্য দায়ী। 

তথ্য অনুযায়ী জুলাই-এপ্রিল সময়ে পোশাক রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে তিন হাজার আটশ সাতান্ন কোটি ৭৫ লাখ ১০ হাজার ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এ আয় ১ দশমিক শুন্য পাঁচ শতাংশ বেশি। আর আগের বছর একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক শুন্য ৯ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ের মোট আয় ছিলো তিন হাজার পাঁচশ ছত্রিশ কোটি ২৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

এদিকে, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী নেতিবাচক রপ্তানী আয়ের খাত ও পন্যসমূহের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে প্রাইমারি কমোডিটিজ, কৃষি পণ্য, চিংড়ী, ফ্রোজেন ফিস, পাট ও পাটজাত পণ্য, প্রকৌশল পণ্য, সিরামিক পণ্য, নির্মাণ সামগ্রী, গ্লাস ও গ্লাসওয়ার, ফার্নিচার, অপটিক্যাল, বাইসাইকেল, হোম টেক্সটাইল, সিল্ক, ওল ও প্লাস্টিক পণ্য, ঔষধ এবং ফটোগ্রাফিক ও মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি।

Link copied!