প্রতি ডলার ১০৫ টাকার বেশী দরে কিনলেই শাস্তি পাবে ব্যাংক

বাণিজ্য ডেস্ক

এপ্রিল ৩, ২০২৩, ০৩:২২ এএম

প্রতি ডলার ১০৫ টাকার বেশী দরে কিনলেই শাস্তি পাবে ব্যাংক

রপ্তানী আয় ও অন্যান্য বাণিজ্যিক রেমিট্যান্স এর প্রতি ডলারের বিনিময় হার ১০৪ টাকা থেকে ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৫ টাকা করা হয়েছে। কার্যকর করতে হবে ২ এপ্রিল রবিবার থেকেই। এর বেশী দরে ডলার কিনলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে শাস্তি পেতে হবে।

এমন সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করে একটি নোটিশ রোববারই সব অথরাইজ্ড ডিলার (এডি) ব্যাংককে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ফরেইন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)।

তবে প্রবাসী আয় থেকে প্রাপ্ত রেমিট্যান্স এ প্রতি ডলারের বিনিময় হার আগের মতোই ১০৭ টাকা থাকছে। বর্তমানে প্রবাসী আয় বৈধ উপায়ে ব্যাংকের মাধ্যমে আসলে তার উপর সরকারের ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা চালু আছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময় হারে অস্থিরতা কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত মেনে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে ডলার কেনাবেচার অভিন্ন দর নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

এরপর বিভিন্ন সময়ে এ দর পরিবর্তন করে বর্তমানে দেশে আসা রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে ডলারের বিনিময় হার করা হয় সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা। আর রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা পাবেন ব্যবসায়ীরা।

আর আমদানির এলসি খোলার ক্ষেত্রে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হবে রেমিটেন্স ও রপ্তানির বিনিময় হারের গড় করে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ গড় হারের সঙ্গে অতিরিক্ত ১ টাকা বেশি নিতে পারবে; অর্থাৎ স্প্রেড সীমা হবে ১ টাকা।

বেশ কিছু ব্যাংক সম্প্রতি ডলার সংকট কাটিয়ে গ্রাহক ধরে রাখতে বাফেদার ঘোষিত এই দরের চেয়ে বশি দামে ডলার ক্রয় করে মর্মে খবর প্রকাশ হয়ে পড়ে।

এমন অভিযোগের বিষয়ে রবিবারের ব্যাংকার্স সভায় ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মূখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ব্যংকগুলোকে সতর্ক করে বলা হয়েছে বাফেদার দরের চেয়ে কেউ বেশি দরে ডলার কেনা-বেচা করতে পারবে না। তিনি জানান বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি নজরদারী করছে।

এদিকে, রফতানি হওয়া পণ্যের মূল্য যথাযথ হচ্ছে কি না তা দেখতেও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে মেজবাউল হক বলেন, আমরা যে ঝুঁকির জায়গাগুলো আছে তা নির্ধারণ করে এ বিষয়ে একটি কাঠামো নির্ধারণ করতে যাচ্ছি। ব্যাংকগুলো দেখবে যে দরে পণ্য রফতানি হচ্ছে তা সঠিক কি না। আবার রফতান মূল্য যেনো প্রত্যাবাসনও সঠিকভাবে হয়।

রফতানি মূল্যে কোনো অনিয়ম দেখতে পেয়েছে কি না বাংলাদেশ ব্যাংক এমন প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, আমরা সেরকম ভাবছি না। ঝুঁকির জায়গাগুলো চিহ্নিত করছি মাত্র। তিনি বলেন ব্য্যাংকগুলোকে রফতানি ও আমদানি হওয়া পণের সঠিক দরটি যাচাই করে দেখতে বলা হয়েছে।

Link copied!