বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি। মানুষ বাজারে গিয়ে জিনিসপত্র একবারে কিনে নিচ্ছে। ফলে বাজারে গিয়ে মানুষ ভাবছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার সব পণ্যের সাপ্লাই অনেক বেশি রয়েছে। কোনো পণ্য সংকট হওয়ার শঙ্কা নেই।
লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরের চেকপোস্টে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন।
এদিন দুপুরে পাঁচদিনের ভারত ও ভুটান সফর শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ করেন। এ সময় সাংবাদিকের সাথে তাঁর নানা বিষয়ে কথা হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রাফিক-ইন-ট্রানজিট চুক্তি হয়েছে। ভারত হয়ে উভয় দেশের মধ্যে সরাসরি আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন করতে এ চুক্তি হয়েছে। এতে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিস্তার ঘটবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই ডাইরেক্ট ট্রান্সপোর্ট চালু হোক। অনেক সময় ঝামেলা হয়। এজন্য ভুটানের সঙ্গে এগ্রিমেন্টটা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে পাথর ও ফলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হচ্ছে। এগুলো যেন ভারতের সড়কে চেক না হয়ে সরাসরি বাংলাদেশে ট্রান্সপোর্ট করা যায় সে বিষয়ে চুক্তি হয়েছে।
লালমনিরহাট বিমানবন্দর ভারত-ভুটান ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, তারা লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি ব্যবহার করবেন না। কারণ এটি বিমান তৈরি কারখানার জন্য করা হয়েছে। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা বিমান তৈরি করবে। তাই তারা সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতে চেয়েছেন। এতে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে না। এ সময় মোগলহাট স্থলবন্দরটি চালু করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
এ সময় বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুজ্জামান সাঈদ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুর হাসান কবির, পাটগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোত্তালিব হোসনে মুসা, বুড়িমারী বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার একরামুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।