চলতি বছরে পৃথিবীর সব দেশই বাজেট ঘাটতি অনুসরণ করছে। বাজেটে ঘাটতি আমাদের একার নয়, সবার এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল। বুধবার (২৩ জুন) সরকারের অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও ২২তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
অন্য দেশের তুলনায় বাজেট ঘাটতি কম
অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। আমেরিকার বাজেট ঘাটতি ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ, ভারতের ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ, জাপানের ১২ দশমিক ৯ শতাংশ, চায়নার ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ৬ দশমিক ২ শতাংশ। তিনি বলেন, ধনী অথবা ধনী নয়, উন্নয়নশীল অথবা উন্নত দেশের সবাই কিন্তু এ বাজেট ঘাটতি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে।
চ্যালেঞ্জ থাকলেও সামষ্টিক অর্থনীতি ঊর্ধ্বমুখী
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, রাজস্ব আহরণ ছিল প্রধান সমস্যা। রেভিনিউ অর্জন এখন ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। রফতানিতেও প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশ। রিজার্ভের পরিমাণ এ মাসেই ৪৬ বিলিয়ন ডলার হয়ে যাবে। রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলার, গত বছর ১৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। করোনাকালে আমরা জনগণকে টাকার জোগান দিয়েছি বিভিন্ন প্রক্রিয়ায়। এতে সবাই অন্তত খাবার পেয়েছে। মোটামুটিভাবে তারা তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে পেরেছে। আগামী অর্থবছরে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতি ঊর্ধ্বমুখী বলে জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।