বৈষম্য বিরোধী আইনের সংশোধন এবং গঠনমূলক প্রয়োগ প্রয়োজন : সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ১০, ২০২২, ১১:৫১ পিএম

বৈষম্য বিরোধী আইনের সংশোধন এবং গঠনমূলক প্রয়োগ প্রয়োজন : সিপিডি

বাংলাদশে জাতীয় সংসদে বৈষম্য বিরোধী বিল ২০২২ উত্থাপন করা হয়ছে। নাগরিক সমাজরে বিভিন্ন পর্যায় থেকে বহুদির ধরেই এমন একটি আইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয়ছে। ২০১৭ সালরে ডিসেম্বর মাসে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম,বাংলাদশে এর আয়োজনে অনুষ্ঠতি নাগরিক সম্মলেনের ঘোষণাপত্রেও এই আইনের দাবি করা হয়েছিল। বৈষম্য বিরোধী বিল সংসদে উত্থাপনের প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য নাগরকি প্ল্যাটরফর্ম, একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে। মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সমাজের পক্ষ থেকে যারা এই আইন উত্থাপনে জনমত তৈরিতে যুক্ত ছলিনে, তারা বক্তব্য রাখনে। 

ড. দেবপ্রিয় ভট্টচার্য, আহ্বায়ক, এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরকি প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদশে তার সূচনা বক্তব্যে বলনে যে, বহুদনি ধরইে নাগরকি প্ল্যাটর্ফম ও তাঁর সহযোগী প্রতিষ্ঠান এই আইন উত্থাপনে ও খসড়া প্রণয়নে সরকারকে সহায়তা করে আসছে। ২০১৭ সালে নাগরকি প্ল্যাটফর্মে সম্মলনের একটি ঘোষণাপত্রওে এই আইন উত্থাপনরে দাবী করা হয়ছেলি। তবে এই আইনরে সঠিক বাস্তবায়নরে জন্যে দৃশ্যমান রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা, দক্ষ প্রশাসন ও নাগরিক নজরদারি প্রয়োজন। 

মিজ শাহীন আনাম, কোর গ্রুপ সদস্য, নাগরকি প্ল্যাটর্ফম এবং নির্বাহী পরিচালক, মানুষরে জন্য ফাউন্ডশেন, সভা প্রধান হসিবেে উপস্থতি ছলিনে। তিনি জনবান্ধব, বিশেষ এমন নারীবান্ধব আইন উত্থাপনরে জন্য সরকারকে অভনিন্দন জানান এবং বলনে এই আইন উত্থাপন কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর পেছনে র্দীঘদিনেরে সংগ্রামের কথা বলে তিনি। তিনি আরও বলেন, ২০০৭ সালে প্রথম এর কাজ শুরু হয় এবং লক্ষ্য করা হয়, বৈষম্যকে সুনদির্ষ্টিভাবে লক্ষ্য করে কোন আইন নইে। পরর্বতীতে জনমত জরপিরে মাধ্যমে ২০১৩ সালে আইন কমিশনে খসড়া জমা দওেয়া হয়। এখন এই আইনটি জনগণরে প্রত্যাশাকে প্রতফিলতি করে কিনা সেটা র্পযবক্ষেণ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তবে সেজন্য সঠিক মনিটরিং কমিটি প্রয়োজন বলে। 

ব্যারিস্টার সারা হোসনে, নির্বাহী পরচিালক, বাংলাদশে লিগ্যাল এইড এন্ড র্সাভসিসে ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) বলনে, বিভিন্ন সময়ে জনগোষ্ঠী (- হিজড়া, প্রতিবন্ধী, সংখ্যালঘু) তাদরে বিরুদ্ধে হওয়া বৈষম্যের ব্যাপারে জানয়িছেনে। সামগ্রকিভাবে একটি আইনরে মাধ্যমে সব ধরণরে বৈষম্যকের কেন্দ্রীভুত করার এই প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে আইনে বৈষম্যের সংজ্ঞায় এখনো কিছু সমস্যা আছে। যেমন – যৌনর্কমীদের পেশা বৈধ কিনা; এ ব্যাপারে আইনে স্পষ্ট  কিছু বলা নেই।

ড. ফস্টিনা পেরেইরা , সিনিয়র ফেলো, সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস এবং প্রফেসর, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বলনে,প্রতিকারের জায়গা আরও বিস্তৃত হওয়া উচিৎ।

রাজনৈতিক শূণ্যতার প্রেক্ষিতে র্বতমানে আমলাতান্ত্রিক ক্ষমতার ব্যপ্তি ঘটানোর জন্যইে সব ধরণের আইন প্রণয়ন হয় বলে মনে করনে বাংলাদশে সুপ্রমি কোর্ট এর আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক। তিনি উত্থাপিত আইনে প্রতিকারের জন্যে যে মনিটরিং কমিটিগুলোর কথা উল্লখে আছে তাদের কার্যপ্রণালী নিয়ে কথা বলনে। পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি মনে করনে, অনেকক্ষেত্রেই এই ধরণরে আইনে মনটিরিং কমিটি গঠতি হলওে, তাদরে কোন ধরণরে সভা অনুষ্ঠতি হয় না।

ড. ইফতখোরুজ্জামান নির্বাহী পরিচালক, ট্রান্সপারন্সেি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদশে (টিআইবি) বলেন, বৈষম্যের কাঠামোগত সংজ্ঞায়নে মানসিক প্রতিবন্ধি, বর্ণ বৈষম্য ও এসডিদগ্ধদরে অর্ন্তভুক্ত করা উচিৎ। তাছাড়া, এই আইনে ভূমির আইনগত মালিকদরে কথা বলা হলেও, প্রথাগতভাবে ভূমির মালিকদের তথা আদিবাসীদের ব্যাপারে কিছু উল্লখে করা হয়নি। আইনের বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার প্রতি আলোকপাত করে তিনি উল্লেখ করেন , একটি বৈষম্য বিরোধী কমশিন গঠন করার মাধ্যমে উত্থাপিত আইনের বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা সেটা দেখা জরুরী।

Link copied!