জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড বিরুদ্ধে তদন্ত করে দুই মাসে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার গোপন তথ্য উদঘাটন করেছে। তদন্ত শেষে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ৫৭ লাখ ৯২ হাজার টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা দায়ের করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক দলিলাদি তল্লাশিপূর্বক বাণিজ্যিক বিক্রয় চালান এবং বিক্রয় রেজিস্টার জব্দ করা হয়েছে।
নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (মূল্য সংযোজন কর) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ভ্যাট গোয়েন্দার উপ-পরিচালক অথেলো চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি দল গত ২৮ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায়। এসময় ভ্যাট ফাঁকির ব্যাপক প্রমাণ পাওয়া যায়।
তদন্তে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ৫ কোটি ৬ লাখ ৭০ হাজার ৭৯২ টাকার বিক্রয় তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু এ সময় প্রতিষ্ঠানের দাখিলপত্রে ৪ কোটি ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ১৭৮ টাকা বিক্রয়মূল্য দেখানো হয়। দাখিলপত্রে ৪৭ লাখ ৪৪ হাজার ৬১৪ টাকা বিক্রয় তথ্য গোপন করা হয়েছে। এর ওপর পরিহার করা মূসক ৭ লাখ ১১ হাজার ৬৯২ টাকা। এই ভ্যাট যথাসময়ে পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী, মাসিক ২ শতাংশ হারে সুদ ৫ লাখ ১২ হাজার ৪১৮ টাকা প্রযোজ্য।
তদন্তে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে মোট ৫ কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার ৯৭৪ টাকার বিক্রয় তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু এ সময় প্রতিষ্ঠানের দাখিলপত্রে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৮৭ টাকা বিক্রয়মূল্য দেখানো হয়। ফলে এসময় রিজেন্সি দাখিলপত্রে ১ কোটি ৯২ লাখ ৭৩ হাজার ১৮৭ টাকা বিক্রয়তথ্য গোপন করে, যার ওপর পরিহার করা মূসক ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৯৭৮ টাকা। এই ভ্যাট যথাসময়ে পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী, মাসিক ২ শতাংশ হারে সুদ ১৬ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬৭ টাকা প্রযোজ্য।
হোটেলটিতে মাত্র ২ মাসে মূসক বাবদ ৩৬ লাখ ২ হাজার ৬৭০ টাকা এবং সুদ বাবদ ২১ লাখ ৮৯ হাজার ১৮৬ টাকাসহ সর্বমোট ৫৭ লাখ ৯১ হাজার ৮৫৬ টাকার ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে।