জুন ২৪, ২০২২, ০২:৪৪ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলের কক্ষ থেকে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে গভীর রাতে বের করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। এ সময় তাঁকে গালিগালাজ ও মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. মুন্না ইসলাম। তিনি ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ওই হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তাঁর আবাসিক কার্ড আছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী আজ শুক্রবার সকালে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি সেখানে লিখেছেন, গত পাঁচ মাস ধরে নবাব আবদুল লতিফ হলে অবস্থান করছেন তিনি। এই হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষের একজন আবাসিক ছাত্র তিনি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম হোসেনের কয়েকজন অনুসারী ওই কক্ষে গিয়ে তাঁকে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। নিজের আবাসিক কার্ড দেখিয়ে তিনি বের হতে অপারগতা দেখালে তাঁর বিছানাসহ অন্যান্য জিনিস ফেলে দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর তাঁকে গালিগালাজ ও মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম হোসেন বলেন, ওই কক্ষে মূলত আরেকজন আবাসিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে থাকার জন্য বলা হয়েছিল মুন্নাকে। কারণ তাঁদের ওই ছেলেটিকেও মানবিক কারণে হলে সিট দিয়েছেন প্রাধ্যক্ষ। তাঁর বিছানাপত্র ফেলে দেওয়ার কথা নয়। এমনকি মারধর করার অভিযোগও ভিত্তিহীন। রাত দুইটার দিকে ছাত্রলীগ সেখানে গেল কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, রাত দুইটা হবে না। আরও আগে। আর তাঁরা তাঁকে (মুন্না ইসলাম) বের করে দেননি। তিনি নিজে ওখানে যাননি। তাঁদের নেতা-কর্মীরা গিয়েছিলেন।
এর আগে ১৪ জুন রাতে একই হলের ২০৪ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থী সজীব কুমারের বিছানাপত্র বের করে দেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেনের অনুসারীরা। সে ঘটনার ১০ দিনের মাথায় আরেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল।