আগামী ৩০ মার্চে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার লক্ষ্যে স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের টিকা নেওয়ার বয়সসীমাও শিথিল করা হয়েছে। এরইমধ্যে সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে সাত লাখ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর একটি খসড়া তালিকাও তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তবে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে জরুরি ভিত্তিতে সব শিক্ষক-কর্মচারীর তালিকা চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বর্তমানে ৪০ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী শিক্ষকরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা নিতে পারলেও এখন থেকে ৪০ বছরের কম বয়সী শিক্ষকরাও টিকা নিতে পারবেন। এ জন্য টিকা নিবন্ধনের সুরক্ষা অ্যাপে শিক্ষকদের অগ্রাধিকারের তালিকার শীর্ষে আনা হয়েছে। সেখানে ‘শিক্ষক’ নামে নতুন ক্যাটাগরি করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য সুরক্ষা অ্যাপে এখনো কোনো ক্যাটাগরি করা হয়নি।
ইতিমধ্যেই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সরকারি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই তালিকায় সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানের মোট ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৩১৫ জন শিক্ষক ও ২৬ লাখ ৮৫ হাজার ৪৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৯৬, প্রফেশনাল শিক্ষার্থী ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৫৩, মাদ্রাসা (ফাজিল-কামিল) ৬ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৭, টেকনিক্যাল (নন-ভোকেশনাল) ৬ লাখ ৯ হাজার জন রয়েছেন। অবশিষ্ট ৬০ হাজার ২০০ জন কোন ক্যাটাগরির শিক্ষার্থী তা জানা যায়নি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এই তালিকা সম্পূর্ণ নয় বলে ওই মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, তারা দু-চার দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ তালিকা পাঠাবেন। সেই তালিকা পেলেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তারপরও এসব শিক্ষক ও শিক্ষার্থী টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।