প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা বাতিলে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে পিইসি-ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিলের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি আরো বলেন, জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় পিইসি-ইবতেদায়ি পরীক্ষা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবনা হিসেবে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলে পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
করোনার কারণে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেড় বছর বন্ধ ছিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শেষ করা সম্ভব হয়নি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত সিলেবাস। এ কারণে বাতিল হতে পারে পাবলিক পরীক্ষার আদলে হওয়া চলতি বছরের পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা। সাময়িক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়ার চিন্তা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, পঞ্চম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা না নিলেও সিলেবাস শেষ হলে নিজ নিজ ক্লাসে সাময়িক পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। সেই সার্টিফিকেট নিয়ে শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হবে। অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিলে বিভিন্ন মহল থেকে আমাদের ওপর চাপ আসছে। সব দিক বিবেচনা করে পরীক্ষা বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা কাউকে অটোপাস দিতে চাই না, ন্যূনতম পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দিতে চাই। অন্যথায় অটোপাস দেওয়া হলে সমাজে এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়। শিক্ষার্থীদের নানাভাবে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।