মে ১৭, ২০২২, ০২:৪১ পিএম
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আয় হয়। যার বড় অংশই ভর্তি পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পকেটে যায়। ফির এই টাকা নিয়ে নয়ছয়েরও অভিযোগ আছে। শুধু ভর্তি পরীক্ষার আয়ের অনিয়ম নয়, আর্থিক প্রশাসনে শৃঙ্খলা আনতে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিগগির ৪১ দফা সংবলিত সতর্কপত্র পাঠানো হচ্ছে। গতকাল সোমবার ইউজিসির পূর্ণ কমিশনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দৈনিক শিক্ষা পত্রিকায় বলা হয়েছে সতর্কপত্রে আগামী ১০ জুনের মধ্যে ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের চলতি অর্থবছরের সংশোধিত ও নতুন বছরের প্রাথমিক বাজেট পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরিপত্রে উল্লেখযোগ্য নির্দেশনার মধ্যে আছে-প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার আয়ের সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। বাকি ৪০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা করতে হবে। আর এই আয় নিজস্ব আয়ের মধ্যে অবশ্যই দেখাতে হবে। এছাড়া ভর্তি, টিউশন, পরীক্ষা, ল্যাব টেস্ট, বিশেষ কোর্স, বেতন থেকে কর্তনাদি, সম্পত্তি থেকে লব্ধ অর্থ ইত্যাদি অবশ্য নিজস্ব আয় হিসাবে বাজেটে দেখাতে হবে।
ইউজিসির সদস্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, গত কয়েক বছর থেকে বাজেট পাশের আগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি গাইডলাইন দেওয়া হচ্ছে। কোন কোন খাতে বাজেটের অর্থ ব্যয় করা যাবে সেসব বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। তার আলোকে এবারো সেটি দেওয়া হবে। আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে এ সংক্রন্ত পরিপত্র জারি করা হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ওপর ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফির বোঝা কমছে না। বরং ইউজিসির সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আসন্ন শিক্ষাবর্ষেও আবেদন ফি আগের চেয়ে ২০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আগেই বাড়িয়েছিল, এবারও সেটি বহাল রাখছে।