সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১, ০৯:৪৮ পিএম
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ রাখার পর শিক্ষার্থীদের জন্য রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে গ্রন্থাগার খুলে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
তবে বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রবেশের কারণে শিক্ষার্থী ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সকালে গ্রন্থাগার খুলে দেওয়ার পর বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে কিছু শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হুড়মুড় করে ভেতরে ঢুকে যত্রতত্র বসে পড়তে শুরু করেন। এসময় ভেতরের সব আসন পূর্ণ হয়ে গেলে গ্রন্থাগারের মুল ফটক আটকে দেয় কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞান গ্রন্থাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাকে দায়িত্ব পালন করতে না দিয়ে জোরপূর্বক ভেতরে প্রবেশ করে।
জানা যায়, এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর গ্রন্থাগার পরিদর্শন করতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, প্রধান গ্রন্থাগারিক নাসিরউদ্দিন মুন্সি ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামূল হক ভূঁইয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
তাদের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ সময় বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন কুমার সাহা এক শিক্ষার্থীকে চড় মারতে তেড়ে গেলে প্রতিবাদে তাকে ঘিরে ধরেন শিক্ষার্থীরা। এসময় গ্রন্থাগারের ভেতরে বেশ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, গ্রন্থাগারে শুধু নিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রবেশের কথা থাকলেও চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া সাবেক শিক্ষার্থীরা ঢুকে পড়লে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী গণমাধ্যমকে বলেন, 'গ্রন্থাগারে কেবল নিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রবেশের কথা থাকলেও সেখানে সাবেক শিক্ষার্থীরাও প্রবেশ করছে। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।'
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়, অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে আজ থেকে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও সেমিনার গ্রন্থাগারগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সবার জন্য গ্রন্থাগার খোলা রাখতে হবে।